নবান্ন অভিযানে অশান্তি ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছেন ১৪৭ জন। জানানো হয়েছে, নবান্ন অভিযানের দিনের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যারা হামলা করেছিল, তাদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে।
মঙ্গলবার থেকে উত্তপ্ত কলকাতা। মঙ্গলবার ছাত্র সমাজ নামে এক অরাজনৈতিক দলের ডাকা নবান্ন অভিযানে পা মেলান বহু সাধারণ মানুষ। আরজিকর কান্ডের প্রতিবাদ ও মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগের দাবিতে হয়েছিল আন্দোলন। এই অভিযান বানচাল করতে প্রচেষ্টা চালায় কলকাতা পুলিশ। সেদিন পুলিশ ও সাধারণ মানুষের সংঘর্ষের কথা কারও অজানা নয়। এই উত্তেজনার কারণেই একাধিক মানুষকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এখানেই শেষ নয়। এই সংখ্যা বাড়তে পারে বলে মিলেছে ইঙ্গিত।
বনধের দিন শহরে মোট ৭৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৬৪ জন পুরুষ এবং ১২ জন মহিলা। তবে, মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ-র ডাকা নবান্ন অভিযানে অশান্তি ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছেন ১৪৭ জন। তিনি বলেন, নবান্ন অভিযানের দিনের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যারা হামলা করেছিল, তাদের চিহ্নিত করার কাজ চলছে।
গতকাল লালবাজারে সাংবাদিক বৈঠক হয়। ছিলেন ডেপুটি কমিশনার (সেন্ট্রাল ) ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়। তিনি জানান, নবান্ন অভিযানে স্ট্যান্ড রোডে বিক্ষোভকারীদের ছোড়া ইটে আঘাত পান কলকাতা পুলিশের ট্র্যাফিক সার্জেন্ট দেবাশিস চক্রবর্তী।। চোখে গুরুতর আঘাত লাগে। ক্ষতিগ্রস্ত হয় রেটিনা ও কর্নিয়া। তিনি আর দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাবেন কি না তা নিয়ে সংশয় আছে। নবান্ন অভিযানে পুলিশে উর্দি পরে হকি স্টিক নিয়ে বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলার অভিযোগ পেয়েছেন তারা। সে কারণেই ফের হচ্ছে তদন্ত। খতিয়ে দেখা হচ্ছে ফুটেজ। আরও ব্যক্তি এই ঘটনায় গ্রেফতার হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। এমন খবর লাল বাজারসূত্রে।