বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় একটি গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে এই টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ইডির টাকা উদ্ধারের পরই কলকাতা পুলিশের এই অভিযানে রহস্য দানা বেঁধেছে।
বুধবারের পর ফের বৃহস্পতিবার। বুধবার বালিগঞ্জের একটি নির্মাণকারী সংস্থার অফিস থেকে উদ্ধার হয় প্রায় ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা। বুধবার থেকে শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। বৃহস্পতিবার ভোর রাত চারটের সময় নির্মাণকারী সংস্থার অফিস ছাড়েন তদন্তকারী কর্মকর্তারা। এবার বালিগঞ্জকে টেক্কা দিল গড়িয়াহাট।
বৃহস্পতিবার গড়িয়াহাট থেকে উদ্ধার হল বান্ডিল বান্ডিল টাকা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় একটি গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে এই টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ইডির টাকা উদ্ধারের পরই কলকাতা পুলিশের এই অভিযানে রহস্য দানা বেঁধেছে। কলকাতা পুলিশের এসটিএফের অভিযানে কোটির বেশি নগদ টাকার হদিশ মিলেছে।
গাড়িতে বান্ডিল বান্ডিল নোট নিয়ে যাওয়ার সময় ৩জন সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়েছে বলে শেষ অবধি পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে। যদিও কোথায়, কার কাছে যাচ্ছিল বান্ডিল বান্ডিল নোট? এখনও সে বিষয়ে জানা যায়নি। পুলিশ সূত্রে খবর যমুনালাল বাজাজ স্ট্রিটের বাসিন্দা মুকেশ সারস্বত, বেলগাছিয়ার দুলাল মণ্ডলকে আটক করা হয়েছে।
এদিকে, বুধবার হিসেব বহির্ভূত সম্পত্তির অভিযোগে, পতাকা ইন্ডাস্ট্রিজ প্রাইভেট লিমিটেডের হেড অফিস-সহ ৮টি জায়গায় আয়কর দফতরের তল্লাশি চালানোর দিনেই, বালিগঞ্জের নির্মাণকারী সংস্থা গজরাজ গ্রুপের অফিস থেকে কোটি টাকারও বেশি উদ্ধার করল কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
তবে ইডি সূত্রের খবর কয়লা পাচারকাণ্ডের তদন্ত নেমে এই বিপুল পরিমাণ টাকার কথা তারা জানতে পারে। ইডি জানতে পারে কয়লাপাচারের টাকা এই নির্মাণ সংস্থার বিনিয়োগ করা হত। তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান এই ভাবেই কয়লাপাচারের কালো টাকা সাদা করা হত। কয়লাপাচারের সঙ্গে যুক্ত একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেই বালিগঞ্জের নির্মাণ সংস্থার তথ্য হাতে পায় ইডি। তারপরই বুধবার তল্লাশি অভিযান শুরু করে। সেখানেই ইডির হাতে আসে এক কোটি ৪০ লক্ষ টাকা নগদ। কোম্পানির কেউ নগদ টাকার উৎসের সন্ধান দিতে পারেনি। আর সেই কারণেই পুরো টাকা বাজেয়াপ্ত করে কেন্দ্রীয় সংস্থার।