গরমে অস্থির মানুষের এখন একটাই প্রশ্ন বৃষ্টি কবে হবে। নিদেনপক্ষে একটা কালবৈশাখী? এই সব প্রশ্নের উত্তর জানতেই এশিয়ানেট নিউজ বাংলা ফোন করেছিল আবহবিদ সুজীব করকে। তবে তিনি যা বললেন, তা বেশ আশঙ্কার।
ঝলসাচ্ছে গোটা শহর। রোদচশমা থেকে টুপি কোন কিছুই স্বস্তি দিচ্ছে না। বাইরে বেরিয়ে জল, ফলের রস, ঠান্ডা পানীয়তে গলা ভিজলেও শরীর স্বস্তি পাচ্ছে না। চৈত্রের শেষে তাপমাত্রার এমন দাপুটে ব্যাটিংয়ে নাজেহাল মানুষ। দরদর করে অস্বস্তিকর ঘাম নিয়ে কালবৈশাখীর আশায় শহর থেকে শহরতলি। তবে আবহবিদ সুজীব কর বলছেন এখন এই গরমকে সঙ্গী করে চলতে হবে বেশ কয়েকটা দিন।
গরমে অস্থির মানুষের এখন একটাই প্রশ্ন বৃষ্টি কবে হবে। নিদেনপক্ষে একটা কালবৈশাখী? এই সব প্রশ্নের উত্তর জানতেই এশিয়ানেট নিউজ বাংলা ফোন করেছিল আবহবিদ সুজীব করকে। তবে তিনি যা বললেন, তা বেশ আশঙ্কার।
সুজীব কর জানাচ্ছেন এর আগে কখনও কলকাতা বা দক্ষিণবঙ্গে সব জেলা এত গরম প্রত্যক্ষ করেনি। সেদিক থেকে ২০২৩ সালে রেকর্ড গরম পড়েছে বলাই যায়। তারওপর এবছর কালবৈশাখীর পরিমাণও কম হবে, ফলে এই তাপমাত্রা থেকে স্বস্তি পাওয়ার আপাতত কোনও সম্ভাবনা নেই। বরং এপ্রিল মাসের ২১ তারিখ পর্যন্ত দাপুটে ব্যাটিং চালাবে তাপমাত্রার পারদ। সবমিলিয়ে গরম হলকা বের হচ্ছে হাওয়া থেকে। কলকাতা ও শহরতলী জুড়ে তাই হাওয়া বইলেও, তাতে স্বস্তি নেই।
সুজীব কর বলেন পয়লা বৈশাখে কখনও এরকম গরম পড়েছে বলে অন্তত তিনি মনে করতে পারছেন না। এই পরিস্থিতি পুরোপুরি তৈরি হয়েছে উত্তর বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপের জন্য। যে শুষ্ক বাতাস রাজ্যে প্রবেশ করছে, তাতে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ অত্যন্ত কম। যেখানে রাজ্যের বাতাসে আর্দ্রতা থাকার কথা ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ, সেখানে এখন জলীয় বাষ্পের পরিমাণ মাত্র ৬০ শতাংশের আশেপাশে।
প্রবল শুষ্ক হাওয়ায় আর্দ্রতা না থাকায় ঘামের পরিমাণ কম হচ্ছে বলে মনে করছেন আবহবিদ সুজীব কর। তিনি বলেন অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর ঘামের অস্বস্তি অনেকটাই কম। শুষ্ক গরমে ত্বক পুড়লেও, শরীর ঘামে ভিজছে কম। এই পরিস্থিতি বদলাতে পারবে না দু একটা কালবৈশাখী। ২১ এপ্রিলের পর গরম কমবে বলে মনে করছেন তিনি। এপ্রিলে যে গরম অনুভব করেছে বাংলা, তা মে বা জুন মাসে থাকবে না বলেই আশাবাদী তাঁরা।
এদিকে, ইতিমধ্যেই তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টের মধ্যে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না বেরোনোর পরামর্শও দেওয়া হচ্ছে। সদ্যোজাত, শিশু, বয়স্ক এবং অসুস্থ মানুষদের সাবধানে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বাইরে বেরোলে ছাতা, টুপি, রোদচশমা ব্যবহার করার কথা বলা হয়েছে।