পাইকারি বাজারে গোটা মুরগির দাম ১২৩ টাকা। সরকারি ন্যায্য মূল্যের দোকানেও মুরগির দাম ২০০ টাকা ছুঁয়েছে। খোলা বাজারে ইতিমধ্যেই কাটা মুরগির মাংস বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়। এবার মুরগীর দাম নিয়ে বেশ ক্ষোভ প্রকাশ করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
খোলা বাজারে চড়চড় করে বাড়ছে মুরগীর মাংসের দাম। কোনও দিন ১৮০ টাকা কেজি, কোনও দিন সেই দোকানেই দাম ২০০ টাকা কেজি। নির্দিষ্ট দাম না থাকায় বেশ অসুবিধায় পড়তে হয় ক্রেতাকে। আবার একই এলাকার দুটি দোকানে মুরগী বিক্রি হয় দুটি ভিন্ন দামে। বিয়ের মরশুমে আগামী কয়েকদিনে মুরগির মাংসের দাম আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের। দামের ঠেলায় টান পড়েছে মধ্যবিত্তের পকেটে।
পাইকারি বাজারে গোটা মুরগির দাম ১২৩ টাকা। সরকারি ন্যায্য মূল্যের দোকানেও মুরগির দাম ২০০ টাকা ছুঁয়েছে। খোলা বাজারে ইতিমধ্যেই কাটা মুরগির মাংস বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়। এবার মুরগীর দাম নিয়ে বেশ ক্ষোভ প্রকাশ করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শীতের মরসুম শুরুর আগেই বাজারে সব্জির দাম বেড়েছে। সোমবার নবান্নে টাস্ক ফোর্স, কৃষি বিপণন দফতরের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে এ নিয়ে বেশ কিছু নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন তিনি বলেন মুরগীর মাংসের দাম এক জায়গায় এক এক রকম কেন। মুরগীর মাংসের দাম অবিলম্বে কমাতে হবে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন মুরগির মাংসের দাম নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন। তিনি বলেন, ‘‘চিকেনের দাম এত কেন? লোকে খাবে কী? ১৮৫ টাকা হল কেন মাংসের দাম? চিকেনের দাম একটু বেশি আছে। বাজারে চিকেনের দাম কমাতে হবে। চিকেনের দাম এত হলে মানুষ খাবে কী করে? আমার কথা হচ্ছে এটা ১৫০ টাকার বেশি হবে না। ১৮৫ টাকা বেশি নয়? এটা কী হচ্ছে?”।
এদিন শুধু মুরগীর মাংস নয়, বাজারের অন্যান্য দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়েও মুখ খুলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন “চাষীরা যদি সাবলম্বী হয়ে যায়, তাহলে আমরা তার থেকে বেশি খুশি আর কি হব? আমি চাই আমার ইন্ডাস্ট্রি গ্রো করুক, আমার চাষীরা গ্রো করুক। সুফল বাংলা স্টলে শাক সবজি ডিফারেন্ট টাইপ অফ নিয়ে আসুন। সিম কেন ২২ টাকা কেজি হবে? সুফল বাংলায় কিছু সিম বিক্রি করুক। গরিব মানুষরা আলু সেদ্ধ ভাত খায়। কোল্ড স্টোরেজ থেকে আলু বার করুন। চাষীরা সঠিকভাবে দাম পাচ্ছে না।”
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন “কোল্ড স্টোরেজ থেকে আলুটা বের করলে, আলুর দাম অনেকটা কমে যাবে। বাজার আরও গতিশীল হবে। অন্যান্য শাকসব্জি যেগুলি আছে, শীতের সব্জি উঠতে শুরু করলেই আমার মনে হয় দাম কমানো উচিত। একটি ফুলকপি কেন ৪০-৪৫ টাকা দিয়ে কিনতে হবে?” পাইকারি বাজারে শাকসব্জির দামের তালিকা দেখে কিছুটা অবাক মুখ্যমন্ত্রী। বাঁধাকপি কেন কেজি দরে বিক্রি হয়? পালক শাকের দাম কেন এত বেশি? এমন কিছু প্রশ্নও উঠে আসে মমতার মুখে। এই নিয়ে তাঁর দাওয়াই, “আরও তো অনেক শাক আছে বাংলায়। এক একটি জেলায় এক এক ধরনের শাক হয়।” সেই সব শাক যদি চাষীরা বিক্রি করতে চান, সেই বিষয়টির দিকেও নজর দেওয়ার জন্য বলেন তিনি।