শেষ বার ২০২২ সালে মিড-ডে মিলের বরাদ্দ বাড়িয়েছিল কেন্দ্র। তারপর থেকে দু’বছর পেরিয়েছে। দাম বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রির।তবে বরাদ্দ সেই একই আছে।
বিগত কিছু বছরে নানা অভিযোগে বহুবার সংবাদ শিরোনামে এসেছে মিড-ডে মিল। আর এবার নয়া বিতর্ক। মিড-ডে মিলের বরাদ্দ নিয়ে এ বার ক্ষোভে ফুঁসছেন শিক্ষকরা (Teachers)। কেন বরাদ্দ বাড়ানো হচ্ছে না তা নিয়ে উঠছে অভিযোগ। বহু বছর আগে স্কুলের পড়ুয়াদের জন্য চালু করা হয়েছিল মিড ডে মিল স্কিম। স্কুল পড়ুয়াদের পুষ্টিকর খাবার দেওয়াই এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য। এই প্মিড ডে মিলে (Mid Day Meal) মরসুমি ফল, বিশুদ্ধ জল সহ বিভিন্ন রকম খাবার দেওয়ার কথা উল্লেখ রয়েছে জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা আইন ২০১৩ সালে। তবে কেন্দ্র বরাদ্দ না বাড়ানোয় পড়ুয়াদের মুখে প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাবার তুলে দেওয়াটাই কঠিন হয়ে পড়ছে শিক্ষকদের কাছে।
তাদের দাবি, শেষ বার ২০২২ সালে মিড-ডে মিলের বরাদ্দ বাড়িয়েছিল কেন্দ্র। তারপর থেকে দু’বছর পেরিয়েছে। দাম বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রির।তবে বরাদ্দ সেই একই আছে। এক পয়সাও বরাদ্দ বাড়ায়নি কেন্দ্র। রাজ্য সরকারও এই নিয়ে কার্যত মুখে কুলুপ এঁটেছে। এই মূল্যবৃদ্ধির মাঝে বাচ্চাদের পাতে পুষ্টিকর খাবার দিতে গিয়ে রীতিমতো ঘাম ছুটছে শিক্ষকদের।
উল্লেখ্য, গত বারের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে মিড-ডে মিলে (Mid Day Meal) বরাদ্দ তবে তা ২০২২-২৩ সালের তুলনায় কম। কিছু মাস আগে এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেন, মিড-ডে মিল বাবদ ১২৪৬৭.৩৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। জানিয়ে রাখি, ২০২৩-২৪-এ প্রথমে ১১৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। তবে পড়ে তা সংশোধিত বাজেটে কমিয়ে ১০,০০০ কোটি করা হয়। বর্তমানে প্রাথমিকে মিড-ডে মিলের জন্য মাথাপিছু বরাদ্দ ৫.৪৫ টাকা এবং উচ্চ প্রাথমিকে তা ৮.১৭ টাকা।
এদিকে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে মিড-ডে মিলে বরাদ্দ ছিল ১২৬৮০.৯৭ কোটি টাকা। যেখানে দু’বছরে ভোজ্য তেল থেকে শুরু করে সবজি, ডিম, রান্নার গ্যাস সবেরই দাম বেড়েছে সেখানে বরাদ্দ কেন কমানো হল সেই নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।