বুঝতে পারিনি যে আরজি কর হাসপাতাল রাক্ষসের একটা জায়গা… কাকে উদ্দেশ্য করে বললেন নির্যাতিতার বাবা?

দুই মাস পেরিয়ে গেলেও আরজি কর হাসপাতালে নির্যাতিতার ঘটনার বিচার প্রক্রিয়া এখনও ধোঁয়াশায় আচ্ছন্ন। নির্যাতিতার বাবা সংবাদমাধ্যমের কাছে তাঁর মেয়ের নির্যাতনের বর্ণনা দিয়েছেন এবং কলকাতা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

দেখতে দেখতে প্রায় ২ মাস হতে চলল। এখনও চলছে তদন্ত। সদ্য এক সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুললেন নির্যাতিতার বাবা। তিনি বলেন, আমি মেয়েটাকে আরজি করে দিয়েছিলাম। সে গিয়েছিল, রোগী পরিষেবা দিতে, পড়াশোনা করতে। আর সেই প্রিন্সিপাল প্রমাণ লোপাটের দায়ে জেলবন্দী। তার মানে বুঝতে হবে, কোন রাক্ষসের কাছে আমি দিয়েছিলাম আমার মেয়েটাকে। প্রথমে আমরা বুঝতে পারিনি যে আরজি কর হাসপাতাল এত রাক্ষসের একটা জায়গা।

তিনি আরও বলেন, আমার জীবনটাকে তছনছ করে দিয়েছে। শুধু আমার মনে একটা কথা সব সময় ঘুরপাক খাচ্ছে, ১৪০ কোটি লোকের বাঁচার অধিকার আছে। শুধু আমার মেয়ের বাঁচার অধিকারটা এই দুষ্কৃতীরা ছিনিয়ে নিয়েছে। কত যন্ত্রণা তাকে দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, তা সত্ত্বেও এতদিন হয়ে গেল, আমরা বিচারের কোনও প্রসেস দেখতে পাচ্ছি না। যারা গ্রেফতার হয়েছে, তারা প্রমাণ লোপাটের জন্য গ্রেফতার হয়েছে। তারা কেন প্রমাণ লোপাট করেছে, সেই উত্তর আমরা এখনও পাইনি। তারা নিশ্চয়ই কাউকে আড়াল করার চেষ্টা করছে।

Latest Videos

কলকাতা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করে তিনি বলেন, আমরা যখন আরজি কর হাসপাতালে পৌঁছেছি, আমাদের সারাদিন ওই অবস্থার মধ্যে সেমিনার রুমের গেটের বাইরে অপেক্ষা করতে হয়েছিল। সেই সময়টা যে কি অস্বস্তিকর ছিল, আমি জীবনে কোনওদিন সেটা কাউকে বোঝাতে পারব না। আর ভুলতেও পারব না।

তেমনই সুপ্রিম কোর্টের ওপর তিনি আস্থা রেখেছেন বলে জানান। আর নির্যাতিতার মা জানিয়েছেন, সকলে যেভাবে তাঁদের পাশে আছেন, তাতে মেয়ের জন্য ন্যায়বিচার ছিনিয়ে আনবেন সকলে।

 

Share this article
click me!

Latest Videos

দেখা যাক ২৬-এর মসনদ কার দখলে যায়? Mamata-কে চ্যালেঞ্জ Agnimitra-র
২৬ এর নির্বাচনে কী থাকবেন ফিরহাদ হাকিম? বাতলে দিলেন শমীক ভট্টাচার্য #shorts #shortsfeed #bjp #tmc
হাড়োয়ায় তৃণমূল জিততেই বিজেপি প্রার্থীর জমি তচনচ, ক্ষোভ উগরে যা বললেন Samik Bhattacharya
ওয়াকফ বিলের (Waqf Bill) আঁচ বাংলার বিধানসভায়, দেখুন কী বললেন Suvendu Adhikari
তন্ত্রযোগ? নাকি বৌমা ও ছেলেকে শিক্ষা দিতেই...আটক দাদু, ঠাকুমা ও জেঠিমা | Hooghly News Today