সন্দীপ ঘোষের জামিন মামলায় একী বলল আদালত? RG Kar মামলার শুনানিতে তোলপাড় করা আপডেট
আবার জামিনের আবেদন করলেন সন্দীপ ঘোষ। এর আগেও আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ জমিনের আবেদন করেছিলেন। এবার কী হল দেখুন।
Saborni Mitra | Published : Nov 18, 2024 4:49 PM IST
আরজি কর দুর্নীতি
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে। তার বিরুদ্ধে তরুণী চিকিৎসক হত্যাকণ্ডে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে। সত্যি এই ঘটনায় যুক্ত কিনা তা খতিয়ে দেখছে সিবিআই।
শিয়ালদহ আদালতে জামিনের আর্জি
সোমবার শিয়ালদহ আদালতে আবারও জামিনের আর্জি জানান সন্দীপ ঘোষ। তাঁর আইনজীবী তাঁর জামিনের পক্ষে সওয়াল করেন আইনজীবী।
সিবিআই -এর আইনজীবীর সওয়াল
আরজি কর দুর্নীতির পাঁচটি ডিভিআই ও পাঁচটি হার্ডডিস্ক সেন্ট্রাল ফরেন্সিকে পাঠান হয়েছে। রিপোর্ট আসলে সেটা নিয়ে জেরা করা হবে।
সিবিআই-এর বক্তব্য
সুপ্রিম কোর্টে ৬টি স্টেটাস রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। ঘটনার আগে সন্দীপ ও অভিযোগের কোনও যোগাযোগ ছিল কিনা তা জানা প্রয়োজন। বৃহত্তর ষড়যন্ত্র খুঁজে বার করার জন্য এই তথ্য প্রয়োজনীয়।
সিবিআই-এর দাবি
কারও প্রতি ব্যক্তিগত ক্ষোভ বা আক্রোশ নেই সিবিআইয়ের। অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়রের বিরুদ্ধে যখন প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল, তখন তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। তদন্তকারীকে সময় দেওয়া হোক। কেস ডায়েরি দেখলে বোঝা যাবে তদন্ত কতটা এগিয়েছে।
সন্দীপ ঘোষের আইনজীবীর সওয়াল
৬৫ দিন হয়ে গিয়েছে। কোনও চার্জশিট জমা পড়েনি। এদের বিরুদ্ধে খুন ও ধর্ষণের চার্জ নেই। শুধু তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগের কথা বলছে। যেহেতু ষাট দিন হয়ে গিয়েছে তাই জামিন পেতেই পারে। এই মামলায় নতুন কোনও ধারাও যোগ করা হয়নি।
জামিনের পক্ষে সওয়াল
আবেদনপত্রে বলা হচ্ছে যদি 'ষড়যন্ত্র হয়ে থাকে…।' মানে হতেও পারে নাও পারে। অনুমানের ভিত্তিতে কি তাদের আটকে রাখা যায়? খুন ও ধর্ষণের মামলা যে এদের বিরুদ্ধে নেই তা একদম প্রথম দিনেই আদালতে বলেছিল সিবিআই। তথ্যপ্রমাণ লোপাটের প্রমাণ এখনো সিবিআই দেখাতে পারেনি। তাহলে এবার তাদের জামিন দেওয়া হোক।
আদালতের বক্তব্য
দুই পক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পরেই বিচারক বলেন, যদি তথ্য প্রমাণ লোপাটের জন্য আলাদা কোনও মামলা হত তাহলে সাত দিন পেরিয়ে গিয়েছে এই যুক্তিতে তারা জামিন পেতে পারত। কিন্তু এই বিষয়টি মূল মামলার সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। সেই জন্য এই মমলায় জমিন নিতে গেলে উচ্চ আদালতে য়েতে হবে।