ফের পিছিয়ে গেল শুনানি। ঝুলে রইল ২৬ হাজার চাকরিপ্রার্থীর ভবিষ্যত। বুধবার চাকরি বাতিল মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, তা বাতিল হয়ে যায়। বুধবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির এজলাসে শুনানির কথা ছিল। সময়ের অভাবে তা পিছিয়ে গেল। সূত্রের খবর,দেড় মাস এই মামলা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিন সকাল থেকে ধর্মতলায় অবস্থানে বসেছিলেন আন্দোলনরত চাকরি প্রার্থীরা। সবার নজর ছিল সুপ্রিম কোর্টের রায়ের দিকে। এদিনের চাককরি বাতিল সংক্রান্ত মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, আদালতফের সেই মামলা পিছিয়ে দেয়। এতে ভেঙে পড়ে আন্দোলনকারীরা।
এক আন্দোলনকারী বলেন, আর কত পরীক্ষা দিতে হবে। এভাবে বেঁচে থাকা চেয়ে মরে যাওয়াই ভালো। আর নেওয়া যাচ্ছে না। আন্দোলনকারীর কথায় সুরাহা চাই। মরে গিয়ে এবার আদালতের কাছে প্রমাণ দেব। তবেই দেশের বিচার ব্যবস্থা কি গুরুত্ব দেবেন? প্রশ্ন করেন সেই আন্দোলনকারী।
জানা গিয়েছে, আগামীতে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের কথা হাঁটবেন তারা। এই প্রসঙ্গে এক আন্দোলনকারী জানান, আন্দোলনের রূপরেখা ঠিক করতে বৈঠক হবে। এরপর আন্দোলন আরও তীব্র হবে। শুধু তাই নয়, সুরাহা হওয়া না পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন আন্দোলনকারী।
গত বছর ডিসেম্বর মাসে চাকরি বাতিল সংক্রান্ত শুনানি হয়। এরপর চলতি মাসের প্রথমদিনে এই মামলার শুনানি থাকলেও তা হয়নি। বুধবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানির জন্য ধার্য করা হয় দিন। কিন্তু তাও হব না। আগামী, ২৪ মার্চের পর শুনানি হবে বলে খবর।
গত ২২ এপ্রিল এসএসসি দুর্নীতি মামলায় লকাতা হাই কোর্ট বাতিল করার নির্দেশ দেয়। আর এই রায়ে রাতারাতি চাকরি ঐতিবাসিক রায় ঘোষণা করে। ২০২৬ সালের গোটা প্যানেল ছিল ২৫,৭৫৩ জনের। এই মামলার রায় ঘোষণার কথা ছিল বুধবার। যা ফের পিছিয়ে গেল। এবার শোনা যাচ্ছে মার্চে হবে শুনানি। ২৪ মার্চের পর শুনানি হতে পারে।