বিরাট বড় আপডেট। কার্যত হুঁশিয়ারি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন যারা যারা সরকারি ভাতা নেবেন, তাঁদের বিশেষ নিয়ম মানতেই হবে। কী হতে চলেছে!
আরজি কর কান্ডের পর সরকারি প্রকল্প স্বাস্থ্যসাথীর (Swasthya Sathi) টাকা নিয়ে কারচুপির অভিযোগ উঠেছিল সরকারি ডাক্তারদের বিরুদ্ধে।
তখনই কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল রাজ্য (West Bengal)। প্রসঙ্গত আরজিকরের আন্দোলন চলাকালীন সময়েই কর্মবিরতির ডাক দিয়েছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।
সেসময় অভিযোগ উঠেছিল সরকারি হাসপাতালে পরিষেবা না দিলেও বেসরকারি হাসপাতালে রোগী দেখে স্বাস্থ্যসাথী (Swasthya Sathi) প্রকল্পের টাকা নিয়েছিলেন আন্দোলনরত ডাক্তারদের একাংশ।
এই অভিযোগে ৪১ জন সিনিয়র রেসিডেন্ট কে ২৫ লক্ষ টাকা জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল স্বাস্থ্য ভবন।
নিয়ম অনুযায়ী সরকারি হাসপাতালে বন্ড পোস্টিংয়ে থাকা সিনিয়র রেসিডেন্টরা সরকারের কাছ থেকে ‘নন প্র্যাক্টিসিং অ্যালাওয়েন্স পান।
তাই সরকারের কাছ থেকে এই ভাতা নেওয়ার পরেও বেসরকারি হাসপাতালে তাদের রোগী দেখা আইনত অপরাধ। তাই এক্ষেত্রে তাদের হলফনামা দিতে হয় সরকারি হাসপাতাল ছাড়া অন্য কোন হাসপাতাল কিম্বা নার্সিংহোমে তারা যুক্ত হবেন না।
তারপরেও একাধিক ক্ষেত্রে নিয়ম অমান্য করার অভিযোগ সামনে এসেছে। এই কারণেই অভয়া-আন্দোলন চলাকালীন বেসরকারি হাসপাতালে রোগী দেখে স্বাস্থ্যসাথী (Swasthya Sathi) প্রকল্পের টাকা নেওয়ায় ৪১ সিনিয়র রেসিডেন্টকে ২৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছিল স্বাস্থ্যভবন।
আর এবার স্বাস্থ্য ভবনের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে শুধুমাত্র সিনিয়র রেসিডেন্ট নয়, যে সব সরকারি ডাক্তার স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করেন তাঁদের প্রত্যেককেই হলফনামা দিয়ে সরকারকে জানাতে হবে। তা নাহলে তদন্তে ধরা পড়লেই কড়া পদক্ষেপ নেবে স্বাস্থ্যদপ্তর।
এবার যেসমস্ত সরকারি ডাক্তার সরকারের থেকে নন প্রাকটিসিং ভাতা নিচ্ছেন তাদের আরও একবার হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে তারা বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে রোগীদের চিকিৎসা করছেন না।
জানা যাচ্ছে, রাজ্যের সিনিয়র রেসিডেন্ট যাঁরা বন্ড পোস্টিংয়ে কর্মরত এমন ডাক্তারের সংখ্যা প্রায় ৮ হাজার। ইতিমধ্যে প্রায় ২ হাজার সিনিয়র রেসিডেন্টকে চিঠিও পাঠানো হয়েছে।
কেন তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে না, তা দ্রুত জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আসলে বন্ড পোস্টিং শুরুর সময় সংশ্লিষ্ট এস আর-কে লিখিতভাবেই জানাতে হয় তিনি সরকারি হাসপাতাল ছাড়া অন্য কোনো বেসরকারি হাসপাতাল কিংবা নার্সিংহোম যুক্ত থাকবেন না।