২৫ ডিসেম্বর পার্ক স্ট্রিট ও সংলগ্ন এলাকার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন ১০ জন ডিসি। বড়দিনের ভিড় সামলাবেন প্রায় তিন হাজার পুলিশ কর্মী।
বড়দিন উপলক্ষে বিগত কয়েক বছর ধরেই শহর কলকাতার একটি প্রধান আকর্ষণকেন্দ্র হয়ে ওঠে পার্ক স্ট্রিট। মানুষের আনন্দ উদযাপনে জোয়ার আনতে বিশেষভাবে সাজিয়ে তোলা হয় সম্পূর্ণ চত্বর, আলোয় মুড়ে ফেলা হয় অ্যালেন পার্কও। গত বছর করোনার কারণে বিশেষ কিছু বিধিনিষেধ থাকলেও মানুষের জমায়েত হয়েছিল প্রায় ৪ লক্ষ। ২০২২-এ আর করোনার কড়াকড়ি নেই, ফলত মানুষের ভিড় পৌঁছে যেতে পারে প্রায় ১০ লক্ষের কাছাকাছি। তাই ভিড় সামাল দিতে আর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গোটা পার্ক স্ট্রিটকে ১১টি সেক্টরে ভাগ করেছে লালবাজার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর পার্ক স্ট্রিট ও সংলগ্ন এলাকার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন ১০ জন ডিসি। প্রত্যেকটি সেক্টরের দায়িত্বে বহাল থাকছেন দু’জন করে ইনস্পেক্টর। তাঁদের কাজের সুবিধার্থে তৈরি হয়েছে ১১টি ওয়াচ টাওয়ার। মোতায়েন রাখা হচ্ছে দু’টি কুইক রেসপন্স দলও। মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে থাকছে ১৬টি পুলিশি সহায়তা কেন্দ্র। এক পুলিশকর্তার বক্তব্য, বড়দিনের গোটা নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখাশোনার জন্য ১০ জন ডিসি-র পাশাপাশি থাকছেন এক জন যুগ্ম কমিশনারও। এর পাশাপাশি কলকাতা পুলিশের দক্ষ মহিলা বাহিনী ‘উইনার্স’-ও রয়েছে। পার্ক স্ট্রিট ও সংলগ্ন এলাকার ২৩টি জায়গায় নাকা-তল্লাশি চালানো হবে।
বড়দিনের আগের রাত, অর্থাৎ ২৪ ডিসেম্বর থেকেই উৎসাহী মানুষদের ব্যাপক জমায়েত লক্ষ্য করা যায়। ফলত, আজ, শনিবার বিকেল থেকেই ভিড় সামাল দিতে ওই এলাকায় দু’দফায় মোতায়েন করা হচ্ছে পুলিশের বিরাট বাহিনী। চার জন ডিসির নেতৃত্বে থাকবেন সাত জন ইনস্পেক্টর। এ ছাড়াও থাকছেন প্রচুর মহিলা পুলিশকর্মী।
লালবাজার থেকে জানানো হয়েছে, করোনা অনেকটা কমে যাওয়ায় আশা করা হচ্ছে, গতবারের তুলনায় এ বছর ভিড় আরও বাড়বে। আর তাই নিরাপত্তার জন্য পার্ক স্ট্রিটে আজ ২২০০ এবং রবিবার তিন হাজার পুলিশকর্মী থাকবেন। এই দু’দিন যাতে ওই এলাকায় কোনওরকম যানজটের সৃষ্টি না হয়, তার জন্য চূড়ান্ত তৎপর রয়েছে পুলিশ। উৎসব উপলক্ষে পার্ক স্ট্রিটের কোথাও গাড়ি পার্ক করা যাবে না। এই দু’দিনের জন্য এই এলাকায় অতিরিক্ত ট্র্যাফিক পুলিশকর্মীদের নিয়োগ করা হয়েছে যাতে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখা যায়।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, কলকাতার নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে ৫১টি পুলিশ-পিকেট বসানো হয়েছে। প্রত্যেক ডিভিশনে মোতায়েন করা হচ্ছে অতিরিক্ত বাহিনী। এ ছাড়া, ২০টি মোটরবাইক বাহিনী শহরে টহল দেবে শনি ও রবিবার। বড়দিন উপলক্ষে বিভিন্ন ক্লাব ও গির্জায় ভিড় জমে। তাই শপিং মল, ক্লাব ও গির্জা-সহ ধর্মীয় স্থানগুলিতে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন-
‘বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে’, কলকাতায় বসেই মানুষকে বোকা বানিয়ে লাখ লাখ টাকা লুঠছে জামতাড়া ‘গ্যাং’
বড়দিনে লোকাল ট্রেন নিয়ে যাত্রীদের দুর্ভোগের আশঙ্কা, একাধিক রুটের ট্রেন বাতিল
ভারতের প্রথম মুসলিম মহিলা ফাইটার পাইলট সানিয়া মির্জা, হিন্দি মিডিয়ামে পড়েই বাজিমাত তরুণীর