চতুর্থীতে বৃষ্টি না হলেও, আংশিক মেঘলা ছিল শহরের আকাশ। পঞ্চমীতেও ভোর থেকেই মুখভার আকাশের। তবে কি বর্ষাসুরের থাবাতেই মাটি হবে বৃষ্টি?
পুজোর শুরু থেকেই মেঘলা আকাশ, কখনও বা হালকা বৃষ্টি। পুজোর চারদিনও কি অপরিবর্তীত থাকবে আবহাওয়া? এই এখন বড় চিন্তা হয়ে দাঁড়িয়েছে বঙ্গবাসীর। তৃতীয়া থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছে রাজ্যে। চতুর্থীতে বৃষ্টি না হলেও, আংশিক মেঘলা ছিল শহরের আকাশ। পঞ্চমীতেও ভোর থেকেই মুখভার আকাশের। তবে কি বর্ষাসুরের থাবাতেই মাটি হবে বৃষ্টি? রাজ্যবাসীর চিন্তা আরও কয়েকগুন বাড়িয়ে পুজোর মধ্যেই বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল হাওয়া অফিস।
পুজোর মধ্যেই ফের বঙ্গোপসাগরে ঘনিয়ে আসছে নিম্নচাপ। যার ফলে পুজোর মধ্যেই বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে বলে জানাচ্ছে আলিপুর। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, ষষ্ঠীর মধ্যেই নিম্নচাপ অঞ্চল তৈরি হতে পারে সাগরে। নবমী থেকে হবে বৃষ্টি। মূলত উত্তর পশ্চিম দিক থেকে বাতাস প্রবেশ করছে দক্ষিণবঙ্গের নিচু এলাকায়। এর প্রভাবে ২০ অক্টোবরের মধ্যে তৈরি হবে নিম্নচাপ। পুজোর শেষ দিকে হতে পারে বৃষ্টি। দশমীতে বৃষ্টির সম্ভাবনা ৯০ থেকে ৮০ শতাংশ। নবমীতে বৃষ্টি তুলনামূলক কম হবে। ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। অষ্টমী পর্যন্ত সর্বত্র শুষ্ক থাকলেও পুজোর শেষ দুদিন হতে পারে বৃষ্টি।
অন্যদিকে নিম্নচাপের জেরে এক ধাক্কায় বেশ খানিকটা কমেছে শহরের তাপমাত্রা। ফলে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে গরমে নাজেহাল হতে হবে না শহরবাসীকে। পঞ্চমীর দিন, অর্থাৎ বৃহস্পতিবার, শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমান ৮০ শতাংশ। অষ্টমী পর্যন্ত বৃষ্টির বিশেষ সম্ভাবনা নেই। তবে নবমী, দশমী ভাসতে পারে বলেই জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর।
কলকাতা ছাড়া দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগণা, হাওড়া, হুগলি ও পূর্ণ মেদিনীপুরে হবে বৃষ্টি। নবমীতে হবে হালকা বৃষ্টি। দশমীতে ওই ছয় জেলা ভিজতে পারে হালকা ও মাঝারি বৃষ্টিতে। সব সময় পুজোর সময় রয়েছে বৃষ্টির সম্ভাবনা। এই সময় তৈরি হচ্ছে নিম্নচাপ। কলকাতা-সহ ছয় জেলায় হবে বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানানো হল আবহাওয়া দফতর সূত্রে