আগামী দু-তিন দিন তাপমাত্রার বিশেষ পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। লক্ষ্মীপূজোর পরের দিনও ভোর থেকেই আংশিক মেঘলা আকাশ থাকলেও বৃষ্টির বিশেষ সম্ভাবনা নেই।
অক্টোবর মাসের শেষ লগ্নে হিমেল ছোঁয়া বাতাসে। লক্ষ্মীপুজোর মধ্যেই হালকা ঠান্ডা আমেজ শহরজুড়ে। লাগাতার বৃষ্টির জেরে একধাক্কায় অনেকটাই নীচের দিকে শহরের তাপমাত্রা। আগামী দু-তিন দিন তাপমাত্রার বিশেষ পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। লক্ষ্মীপূজোর পরের দিনও ভোর থেকেই আংশিক মেঘলা আকাশ থাকলেও বৃষ্টির বিশেষ সম্ভাবনা নেই। তবে নভেম্বরের শুরুর দিকে বাড়তে পারে শহরের তাপমাত্রা। কবে থেকে শহরে জাঁকিয়ে শীত পড়বে সে বিষয় এখনও পরিষ্কারভাবে কিছু না জানা গেলেও নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যেই সোয়েটার, টুপি নামাতে হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই রাতের দিকে শিরশিরে ঠান্ডা ভাব বাতাসে।
পুজোর অষ্টমী-নবমীর মতো লক্ষ্মী পুজোতেও বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল আলিপুর। তবে দুর্যোগের চোখ রাঙানি ব্যাতি রেকেই ঘরে এলে মা লক্ষ্মী। মেঘলা আকাশ থাকলেও বৃষ্টি সেইভাবে হয়নি। বরং গরম কম থাকায় অস্বস্তিকর আবহাওয়ায় পড়তে হয়নি শহরবাসীকে। লক্ষ্মীপুজোর পরের দিনও বিশেষ বদল নেই আবহাওয়ায়। রবিবার শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে বেশ কিছুটা কম। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৮৭ শতাংশ।
উত্তরবঙ্গে আপাতত বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। আকাশ মূলত পরিষ্কারই থাকবে। উত্তরবঙ্গে তাপমাত্রার বিশেষ কোনও হেরফের হবে না বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহ জেলাতেও বজ্রবিদ্যুৎসহ হালকা বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টি হওয়ার দরুন দুই বঙ্গেই রাতের তাপমাত্রা যথেষ্ট কমে যাচ্ছে। গতকাল কলকাতা শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমান, ৯০ শতাংশ। আলিপুর জানাচ্ছে লক্ষ্মী পুজোর দিন থেকেই হালকা শীতের আমেজ পাবেন বঙ্গবাসী। কালীপুজোর মধ্যে ভালোই শীত থাকবে।
আরও খবর পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে: https://whatsapp.com/channel/0029Va9a73wK0IBjbT91jj2D