উল্লেখ্য, বেশ কিছুদিন ধরেই ওই বাগানে চিতাবাঘের উপদ্রবের খবর পাওয়া যাচ্ছিল। সপ্তাহ খানেক আগে বাগানে একটি চিতাবাঘকে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গিয়েছিল।
চিতাবাঘের উৎপাতে গত কয়েকদিন ধরেই বেশ আতঙ্কে ছিলেন চা বাগানের শ্রমিকরা। অবশেষে গতকাল রাতে সেই আতঙ্কের অবসান হল। ছাগলের টোপ দিয়ে খাঁচাবন্দি করা হল চিতাবাঘটিকে। শনিবার গভীর রাতে ডুয়ার্সের গেন্দ্রাপাড়া চা বাগান থেকেই ওই চিতাবাঘটিকে খাঁচাবন্দি করা হয়েছে। রবিবারই তাকে গরুমারা জাতীয় উদ্যানের জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, বেশ কিছুদিন ধরেই ওই বাগানে চিতাবাঘের উপদ্রবের খবর পাওয়া যাচ্ছিল। সপ্তাহ খানেক আগে বাগানে একটি চিতাবাঘকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে তা ক্যামেরাবন্দি করেছিলেন বাগানের শ্রমিক কল্যাণ আধিকারিক বিশু দাস। আর সেই খবর জানাজানি হতেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল বাগানে। কিন্তু, কোনওভাবেই তাকে বাগে আনা সম্ভব হচ্ছিল না। তারপরই চিতাবাঘটিকে ধরার জন্য বিন্নাগুড়ি বন্যপ্রাণী স্কোয়াডের কাছে আবেদন জানানো হয়। এরপর একটি ছাগলের টোপ দিয়ে খাঁচা পাতে বনদফতর।
শনিবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ বাগানের চৌকিদার দেখতে পান ২০ এবং ২১ নম্বর সেকশনের মাঝে ম্যানেজার বাংলোর কাছাকাছি পাতা খাঁচায় একটি চিতাবাঘ ধরা পড়েছে। খবর পেয়ে বন্যপ্রাণ শাখার বিন্নাগুড়ি রেঞ্জের রেঞ্জার শুভাশিস রায় এবং অনারারী ওয়াইল্ডলাইফ ওয়ার্ডেন সীমা চৌধুরী বনকর্মীদের নিয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে যান। রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ চিতাবাঘটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যান তাঁরা।
আরও পড়ুন- করোনার মধ্যেই জ্বরহীন ম্যালেরিয়ার দাপট কলকাতায়, জেনে নিন উপসর্গ
আরও পড়ুন- দেহরক্ষীর রহস্যমৃত্যু মামলায় শুভেন্দুকে তলব সিআইডির, সোমবার ভবানীভবনে হাজিরার নির্দেশ
চিতাবাঘটিকে উদ্ধার করে রবিবার ভোরে লাটাগুড়ি প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। বিন্নাগুড়ি বন্যপ্রাণী স্কোয়াডের রেঞ্জার শুভাশিস রায় বলেন, "চা বাগানের ওয়েলফেয়ার অফিসার কিছু দিন আগে এই চিতাবাঘটিকে বাগানের মধ্যে দেখেছিলেন। বাগান কর্তৃপক্ষ আমাদের তা জানিয়েছিলেন। এরপর বাগান এলাকার বাসিন্দাদের সচেতন করার পাশাপাশি সাবধানতা অবলম্বনের জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল। চিতাবাঘটিকে ধরার খাঁচা পাতার জন্য অনুরোধ করেছিলেন বাগান কর্তৃপক্ষ। আমরা ছাগলের টোপ দিয়ে সেখানে একটি খাঁচা পেতেছিলাম, শনিবার রাতে খাঁচাবন্দি হয়েছে স্ত্রী চিতাবাঘটি। লাটাগুড়ি প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে চিতাবাঘটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। এরপর তাকে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে।" চিতাবাঘটি ধরা পড়ায় কিছুটা হলেও স্বস্তিতে চা বাগানের বাসিন্দারা।