আশিষ মণ্ডল, বীরভূম: এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা মেটেনি, বেহাল দশা রাস্তাঘাটেরও। বিধানসভা ভোটে এবার প্রার্থী বদলের দাবি উঠল তৃণমূলের অন্দরে। বুথ সভাপতির দাবি, গত পাঁচ বছরে এলাকায় কোনও উন্নয়ন হয়নি। জনপ্রতিনিধির ভূমিকায় ক্ষুদ্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রার্থী বদল না করলে ভোট সংখ্যা শূন্যে নেমে আসবে! বীরভূমে অস্বস্তিতে রাজ্যের শাসকদলের জেলা নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন: 'মণীশ শুক্লা খুনের নেপথ্যে ব্যক্তিগত শত্রুতা', দু'জন গ্রেফতারের পর দাবি পুলিশের
সোমবার নলহাটি ১ নম্বর ব্লকের কয়থা ১, কুরুমগ্রাম ও পাইকপাড়া অঞ্চলের বুথ ভিত্তিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন বোলপুর সাংসদ অসিত মাল, নলহাটি বিধায়ক মৈনুদ্দিন সামস, দলের জেলা সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব ভট্টাচার্য। সভার শুরুতে অঞ্চল ও বুথের সভাপতিদের ধরে ধরে লোকসভার ফলাফল খারাপ হল কেন তা জানতে চান অনুব্রত মণ্ডল। প্রথম দিকে ভালোই চলছিল প্রশ্নোত্তর পর্ব। তাল কাটল শেষ পর্বে।
জানা গিয়েছে, স্থানীয় পাইকপাড়া অঞ্চলের ৭১ নম্বর বসন্তপুর গ্রামের বুথে লোকসভা ভোটে ২৯৭ ভোটে লিড পেয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী। বুথ সভাপতি আবুল হাসনাতের কাছে অনুব্রত মণ্ডল সরাসরি জানতে চান, 'জয়ের ব্য়বধান কি আরও বাড়বে?' বুথ সভাপতি জবাব, 'প্রার্থী বদল না করলে আমরা শূন্য হয়ে যাব। আর বদল করলে বিরোধীরা শূন্য হয়ে যাবে।' কেন? খোদ শাসকদলের বুথ সভাপতির দাবি, এখনও পর্যন্ত এলাকায় কোনও কাজই করেননি বিধায়ক! এরপর পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে তাঁর হাত মাইক কেড়ে নেন নলহাটি পুরসভার বিদায়ী চেয়ারম্যান রাজেন্দ্র প্রসাদ সিং। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বুথ সভাপতি আবুল হাসবাৎ বলেন, 'বিধায়ক মৈনুদ্দিন সামস প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এলাকায় পানীয় জলের ব্যবস্থা করে দেবেন। কিন্তু ভোটের পর থেকে তিনি গ্রামেই যাননি। ফলে আজও গ্রামের মানুষ পুকুরের জল পান করছেন। রাস্তাঘাটও অনুন্নত। তাই আমি বলতে চেয়েছিলাম ভাড়াটে প্রার্থী আমরা চাই না। স্থানীয় প্রার্থী দেওয়া হোক বিধানসভায়।'
আরও পড়ুন: বন্য়ার জলে নষ্ট জমির ফসল, ক্ষতিপূরণের দাবিতে কৃষি দপ্তরের সামনে ধান রোপণ
কী বলছেন অভিযুক্ত তৃণমূল বিধায়ক মৈনুদ্দিন সামস? তাঁর বক্তব্য, 'আমি যখন নলহাটি থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হই, তখন এলাকায় পাহাড়প্রমাণ সমস্যা ছিল। অনেক সমস্যার সমাধান করেছি। বসন্তপুর গ্রামে পানীয় জলের জন্য সাব মার্সিবল পাম্প বসানোর কাজ চলছে। কিন্তু জলস্তর অনেক নিচে থাকায় পাম্পটি এখনও চালু করা যায়নি।'