রাজ্য়ে এসে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ না জেনেই হাজার কোটি রাজ্য়কে অ্যাডভান্স করার কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এবার কাকদ্বীপে গিয়ে রাজ্যে আমফানে এক লক্ষ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। যদিও রাজ্য় রাজনৈতিক মহলের ধারণা, ঝড়ের ক্ষতির মূল্যায়ন না করেই এই কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এর কোনও বাস্তব ভিত্তি নেই। মূলত,কেন্দ্রীয় সরকারের ওপর এই বিশাল অঙ্কের 'মানসিক বোঝা' চাপিয়ে দিতেই এই অঙ্কটা বলে রাখলেন তিনি।
এদিন কাকদ্বীপে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,আমরা একসঙ্গে ৪টি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। করোনা, লকডাউন, পরিযায়ী শ্রমিক এবং ঘূর্ণিঝড় । করোনার জন্য এক টাকাও এখনও পাইনি। কেন্দ্রের থেকে কোনও টাকাই আমরা পাচ্ছি না। এই ঘূর্ণিঝড়ে ১ লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। জেলায় মোট প্রায় ১০ লক্ষ বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত । বর্ষার আগে রাস্তার মেরামতি করে দিতে হবে।
এই বলেই থেমে থাকেননি মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি বর্ষা-জনিত রোগের বিষয়েও সতর্ক থাকতে বলেন প্রশাসনকে। এই সময় স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে অ্যান্টি ভেনম, ওআরএস পর্যাপ্ত রাখতে বলেন আধিকারিকদের। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ধ্বংসস্তূপ সরাতে আরও বেশি লোক লাগিয়ে কাজ করাতে হবে। ১০০ দিনের কাজে স্থানীয়দের নিয়োগ করতে হবে। স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ফেরাতেদ্রুত কাজ করতে হবে। আমি আয়লাও দেখেছি, কিন্তু এমন বিপর্যয় কখনও দেখিনি। ত্রাণ নিয়ে যেন কোনও সমস্যা না হয়। রাস্তার আগেও গুরুত্ব দিতে হবে ভেঙে পড়া বাড়ি পুনর্গঠন করতে হবে।
সম্প্রতি আমফানে রাজ্য়ের ক্ষতিগ্রস্ত পরিস্থিতি দেখতে এসে বাংলাকে এক হাজার কোটি টাকা অ্যাডভান্স দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে পরবর্তীকালে রাজ্য়ে ঘূর্ণিঝড়ে কত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা দেখে টাকা পাঠানোর আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় দল রাজ্য়ে আসবে বলেও জানিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। এদিকে ক্ষতিগ্রস্তদের টাকা সরাসরি অ্যাকাউন্টে দিতে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছে রাজ্য় বিজেপি। এ বিষয়ে রাজ্য় বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, অতীতে ত্রাণের টাকা কেন্দ্রীয় সরকার পাঠালেও তা ক্ষতিগ্রস্তরা পায়নি। তাই কেন্দ্রীয় সরকারকে এ বিষয়ে আগেই অবগত করেছে বিজেপি।