তাজপুরে ১৫ হাজার কোটির বন্দর নির্মাণের অনুমতি, আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

প্রেস বিবৃতি অনুসারে, প্রকল্পের পিছনে মোট বিনিয়োগ হবে ২৫ হাজার কোটি টাকা, যার মধ্যে ১৫ হাজার কোটি টাকা মূল বন্দরের জন্য এবং অবশিষ্ট ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ হবে সংশ্লিষ্ট উন্নয়নের জন্য। ২০শে সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রিসভা গ্রিনফিল্ড গভীর সমুদ্র বন্দরের উন্নয়নের জন্য আদানি গোষ্ঠীকে প্রস্তাব পাঠানোর সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে।

Web Desk - ANB | Published : Oct 12, 2022 4:39 PM IST

পশ্চিমবঙ্গ সরকার বুধবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তাজপুরে একটি গভীর-সমুদ্র বন্দর স্থাপন ও বিকাশের জন্য আদানি পোর্ট অ্যান্ড এসইজেড লিমিটেডের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে। রাজ্য সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নিউ টাউনে বিজয়া সন্মিলনী সমাবেশের সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আদানি পোর্ট অ্যান্ড এসইজেড লিমিটেডের সিইও করণ আদানি এবং আদানি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা-চেয়ারম্যান গৌতম আদানির ছেলে করণ আদানিকে এই চিঠি দিয়েছেন। 

প্রেস বিবৃতি অনুসারে, প্রকল্পের পিছনে মোট বিনিয়োগ হবে ২৫ হাজার কোটি টাকা, যার মধ্যে ১৫ হাজার কোটি টাকা মূল বন্দরের জন্য এবং অবশিষ্ট ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ হবে সংশ্লিষ্ট উন্নয়নের জন্য। ২০শে সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রিসভা গ্রিনফিল্ড গভীর সমুদ্র বন্দরের উন্নয়নের জন্য আদানি গোষ্ঠীকে প্রস্তাব পাঠানোর সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে। প্রকল্পটি ২৫ হাজার মানুষের সরাসরি কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা তৈরি করবে বলে রাজ্য সরকার দাবি করেছে।

বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট-২০২২-এর সময় থেকে তাজপুর বন্দরের উন্নয়ন আলোচনার মধ্যে ছিল। এই প্রকল্পের জন্য বিডিংয়ের প্রধান প্রতিযোগী ছিল আদানি পোর্ট অ্যান্ড এসইজেড লিমিটেড এবং জেএসডব্লিউ ইনফ্রাস্ট্রাকচার। এই বছরের ২৩ মার্চ বিড খোলার পরে, আদানি পোর্ট সর্বোচ্চ দরদাতা হিসাবে সামনে আসে। প্রকল্পের জন্য জমি রাজ্য সরকার দেবে বলে জানানো হয়েছে।

রাজ্য সরকারের দৃষ্টিকোণ থেকে পশ্চিমবঙ্গে আদানি গোষ্ঠীর এই বিনিয়োগ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। বিজয়া সম্মেলনীতেই তাজপুরে সমুদ্রবন্দর নির্মাণের অনুমতি দেয় রাজ্য সরকার। বুধবার সন্ধ্যায় নিউটাউনের ইকো পার্কে আয়োজিত বিজয়া সম্মেলনীতে আদানি গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান গৌতম আদানির পুত্র কিরণ আদানির হাতে বন্দর নির্মাণ সংক্রান্ত কাগজপত্র তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেই হাজির ছিলেন রাজ্যের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী শশী পাঁজা। 

সূত্রের খবর, অনুমতিপত্র হাতে পাওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রীকে এ বিষয়ে দ্রুত কাজ শুরু করার আশ্বাস দিয়েছেন কিরণ। গত ১৯ সেপ্টেম্বর বিধানসভায় আয়োজিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে তাজপুরে বন্দর নির্মাণ তৈরির অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। বাংলার শিল্পমহলের দাবি, তাজপুর সমুদ্রবন্দর তৈরি হলে যেমন জলপথে বাণিজ্যের পথ প্রশস্ত হবে, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে, তেমনই হলদিয়া বন্দরের উপর থেকেও চাপ কমবে। উল্লেখ্য, ডানকুনি ও রঘুনাথপুর শিল্পনগরী থেকে এই বন্দরে যাতায়াত অতি সুবিধাজনক বলেই দাবি করা হয়েছে। 

প্রশাসনের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘শিল্পপতিদের সামনে আদানি গোষ্ঠীর হাতে অনুমতিপত্র তুলে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বোঝাতে চাইলেন, রাজ্যে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ রয়েছে। চাইলে অন্য শিল্পপতিরাও বিনিয়োগ করতে পারেন। রাজ্য সরকার সব ক্ষেত্রেই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে।’’

আরও পড়ুন - 

এবার ইডির জালে মানিক ভট্টাচার্য, রাতভর জেরার পর গ্রেফতার প্রাথমিকের প্রাক্তন সভাপতি

বালাসাহেব ঠাকরের প্রকৃত উত্তরাধিকারী কে? উত্তর না মেলায় দুই গোষ্ঠীকেই অন্তবর্তী চিহ্ন আর নাম কমিশনের

জঙ্গিদের গুলিতে গুরুতর আহত 'জুম', জানুন ভারতীয় সেনা বাহিনীর সারমের লড়াইয়ের কথা

Share this article
click me!