দিলীপ ঘোষ বলেন, পুলিশ হোক বা অন্য কেউ হোক দোষীরা শাস্তি পাক। আনিস বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দল করেছে, তাই এটা রাজনৈতিক হত্যা হতে পারে।
আনিস খান (Student Leader Anis death) মৃত্যু রহস্যে ফের মুখ খুললেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। মঙ্গলবার বাঁকুড়ায় (Bankura) মালপাড়া মোড়ে দলীয় চায়ে পে চর্চায় উপস্থিত হয়ে আনিস মৃত্যু কান্ডে নয়া দাবি দিলীপের। তিনি বলেন রাজ্য সরকার আনিস মৃত্যু কান্ডে সিট গঠন করেছে গোটা ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে। আনিস মারা গিয়েছে সন্দেহজনকভাবে। বাড়ির লোকের বয়ান বেশ গুরুত্বপূর্ণ এখানে। বিজেপি এর সঠিক তদন্ত দাবি করছে। সত্য সামনে আসা প্রয়োজন।
এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ ঘোষ বলেন, পুলিশ হোক বা অন্য কেউ হোক দোষীরা শাস্তি পাক। আনিস বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দল করেছে। তাই এটা রাজনৈতিক হত্যা হতে পারে। যেহেতু সে মুসলমান তাই এখন সবাই ঝাঁপিয়ে পড়েছে। আমাদের ৫০ জনের বেশি কর্মী খুন হয়েছে, তখন কারো মনে হয়নি এটা অমানবিক ঘটনা। তা সত্বেও আমরা চাই অপরাধীদের শাস্তি হোক। নারদা সারদাতেও সিট গঠন করা হয়েছিল। কোনও লাভ হয়নিষ রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার সিট গঠন করে সত্যকে চাপা দেওয়ার জন্য। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখানেও তাই করেছেন। সবাই সিবিআই তদন্ত চায়।
এদিকে, সোমবার নবান্নে মৃত আনিস খানের বাবা সালেম খানকে ডেকে পাঠান মুখ্যমন্ত্রী। সরাসরি কথা বলতে চান তিনি। মমতার সেই বার্তা নিয়ে আনিসের বাড়ি যান মন্ত্রী পুলক রায়। সেখানে গিয়ে তিনি এলাকার মানুষের বিক্ষোভের মুখে পড়েন। পরে আনিসের পরিবারের থেকে জানান হয় সালেম খানের শরীর ভালো নয়। তাই তিনি নবান্নে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে অপারগ। কার্যত মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয় আনিসের পরিবার।
উল্লেখ্য, সালেম খান গতকাল তার পরিবারের সদস্যের জন্য রাজ্য সরকারের চাকরির প্রস্তাবকে খারিজ করে দেন। আগে তার ছেলের খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার ও শাস্তি দেওয়ার দাবি জানান। এদিকে, আমতায় ছাত্র নেতার রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন হাওড়া গ্রামীন জেলা সুপার। আনিসের মৃত্যুর ৪৮ ঘন্টার পরে নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য প্রশাসন। নবান্ন থেকে বিশেষ তদন্তকারী টিম তৈরির কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী ও পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি তার পিতাকে নবান্নে আসার ডাক দেন মুখ্যমন্ত্রী।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে সালেম খান যে এফআইআর দায়ের করেছেন আমতা থানায় তাও খতিয়ে দেখা হবে। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী যে বিশেষ তদন্তের টিম তৈরি করেছেন তারা ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষ করে রিপোর্ট জমা করবেন।