বিক্ষোভ কিংবা ভাঙচুর নয়, চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগে এবার দেহ নিয়ে নার্সিংহোমে ধর্না বসে পড়লেন মৃতার ছেলে। মায়ের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ যতক্ষণ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানাবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত ধর্না চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তিনি। ধর্নায় শামিল পরিবারের সদস্যরা, এমনকী প্রতিবেশীরাও। ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ির ফুলবাড়ির একটি নার্সিংহোমে। নার্সিংহোমে মোতায়েন বিশাল পুলিশবাহিনী।
ঘটনার সূত্রপাত গত ২৬ অক্টোবর। সেদিন স্কুটারে ধাক্কায় গুরুতর জখম হন জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের বাসিন্দা দিনমণি রায়। তাঁকে ফুলবাড়ির একটি নার্সিংহোমে নিয়ে আসেন পরিবারের লোকেরা। তাঁদের দাবি, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায় মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছেন দিনমণি, অস্ত্রোপচার করতে হবে। কিন্তু অস্ত্রোপচারের পরই ওই মহিলা শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হতে থাকে বলে অভিযোগ। এমনকী, একসময়ে তিনি কোমায় চলে যান। পরিবারের লোকেদের দাবি, ভেন্টিলেশনে রেখে দিনমণির চিকিৎসা চলছিল। শেষপর্যন্ত সোমবার সকালে দিনমণি রায়কে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এরপরই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ তুলে নার্সিংহোমে মৃতদেহ নিয়ে ধর্নায় বসে পড়েন মৃতার ছেলে।
দিনমণির রায়ের ছেলে শঙ্কর উত্তর দিনাজপুরের রামগঞ্জ রামগঞ্জ হাইস্কুলের শিক্ষক। তাঁর সাফ কথা, 'প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য মা-কে নার্সিংহোমে এনেছিলাম। কিন্তু আমাদের ভুল বুঝিয়ে মা-কে এখানে ভর্তি করে নেওয়া হয়। এমনকী, প্রয়োজন ছাড়াই মাথায় অস্ত্রোপচারও করলেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসায় গাফিলতির কারণে আমার মায়ের মৃত্যু হয়েছে। সঠিক কারণ না জানা পর্যন্ত ধর্না চালিয়ে যাব।' এদিকে যথারীতি চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করেছে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। এমনকী, প্রয়োজনে পুলিশে হাতে মৃতদেহ তুলে দিতেও কোনও আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন নার্সিংহোমের এক আধিকারিক।