Satpal Rai: চোখের জলে শেষ বিদায় সৎপাল রাইকে, উপচে পড়া ভিড় তাকদার বাড়ির সামনে

আজ সকাল থেকেই সৎপালের বাড়ির সামনে ভিড় করেন বহু মানুষ। কনকনে ঠান্ডার মধ্যেও রাস্তায় নামেন পাহাড়বাসী। চোখের জলে তাঁকে শেষ বিদায় জানান তাঁরা। এছাড়াও ছিলেন দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা, ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার সভাপতি অনিত থাপা, পুলিশ ও সেনার উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।

Web Desk - ANB | Published : Dec 13, 2021 9:05 AM IST

তামিলনাড়ুর (Tamil Nadu) কুন্নুরে (Coonoor) চপার দুর্ঘটনায় (Chopper Crash) প্রয়াত দেশের চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ (CDS) জেনারেল বিপিন রাওয়াত (Bipin Rawat)। চপারে থাকা ১৪ জনের মধ্যে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন বিপিন রাওয়াতের ব্যক্তিগত দেহরক্ষী Personal Bodyguard) সৎপাল রাই (Satpal Rai)। রবিবার তাঁর কফিনবন্দী দেহ পৌঁছায় শিলিগুড়িতে। এরপর দেহ নিয়ে যাওয়া হয় তাঁর বাড়িতে। আজ শেষ শ্রদ্ধা জানাতে তাঁর বাড়ির সামনে হাজির হন বহু মানুষ। রয়েছেন সেনা আধিকারিক, পুলিশ আধিকারিক ও দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা।  

আজ সকাল থেকেই সৎপালের বাড়ির সামনে ভিড় করেন বহু মানুষ। কনকনে ঠান্ডার মধ্যেও রাস্তায় নামেন পাহাড়বাসী। চোখের জলে তাঁকে শেষ বিদায় জানান তাঁরা। এছাড়াও ছিলেন দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা, ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার সভাপতি অনিত থাপা, পুলিশ ও সেনার উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। পুষ্প স্তবক দিয়ে সৎপাল রাইরে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয়। 

৮ ডিসেম্বর তামিলনাড়ুর সুলুর থেকে উড়ে ওয়েলিংটন সেনাঘাঁটির দিকে যাচ্ছিলেন সস্ত্রীক বিপিন রাওয়াত। সঙ্গে ছিলেন বায়ুসেনার অন্যান্য আধিকারিকরা। কিন্তু, গন্তব্যে পৌঁছনোর আগেই ১৪ জন আরোহীকে নিয়ে ভেঙে পড়ে চপারটি। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন বিপিন রাওয়াত। চপারে থাকা ১৪ জনের মধ্যে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ওই চপারে ছিলেন বিপিন রাওয়াতের দেহরক্ষী হাবিলদার সৎপাল রাইও। এই দুর্ঘটনায় তাঁরও মৃত্যু হয়। শুধুমাত্র জীবিত রয়েছেন গ্রুপ ক্যাপটেন বরুণ সিং। এই মুহূর্তে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তিনি। 

আরও পড়ুন- শিলিগুড়ি পৌঁছল বিপিন রাওয়াতের দেহরক্ষী সৎপাল রাইয়ের দেহ

সৎপালের মৃত্যুর খবর দার্জিলিংয়ে পৌঁছাতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। শোকস্তব্ধ হয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারাও। এরপর রবিবার বিশেষ বিমানে দুপুর ১২টা ৪০ মিনিট নাগাদ সৎপালের কফিনবন্দী দেহ নিয়ে আসা হয় বাগডোগরায়। সেখানে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানোর পরে তাঁর দেহ নিয়ে যাওয়া হয় ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক হয়ে তাকদার বাড়িতে। মরদেহ নিয়ে সেনা জওয়ানরা কালীঝোরাতে পৌঁছতেই দলে দলে স্থানীয় বাসিন্দারা নেমে পড়েন রাস্তায়। মরদেহ বহনকারী গাড়ি থামিয়ে সবাই তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান। কালীঝোরা থেকে মানুষের এই ভিড় পৌঁছে গিয়েছিল তাকদা পর্যন্ত। আজ তাকদায় পারিবারিক সমাধিক্ষেত্রে সৎপাল রাইয়ের দেহ সমাধিস্থ করা হয়।

আজ সকালে প্রতিবেশীদের ভিড় উপচে পড়ছিল সৎপাল রাইয়ের বাড়িতে। এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, 'দেশকে অনেকেই ভালোবাসে! কিন্তু সকলেই দেশের কাজে প্রাণ দিতে পারে না। সৎপাল রাই পেরেছেন। তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা না-জানালে কখনও হয়।'

Share this article
click me!