রায়গঞ্জের কুলিক পক্ষীনিবাসে মনোকুলারের উদ্বোধন করেন ডিএফও সিদ্ধার্থ। এই মনোকুলারের সাহায্যে কুলিক পক্ষীনিবাসের ওয়াচ টাওয়ার থেকে দূরের পাখিকে আরও কাছে ও স্পষ্ট দেখা যাবে।
মনোকুলার চালু হল রায়গঞ্জের কুলিক পক্ষীনিবাসে। এই মনোকুলারের সাহায্যে কুলিক পক্ষীনিবাসের ওয়াচ টাওয়ার থেকে দূরের পাখিকে আরও কাছে ও স্পষ্ট দেখা যাবে। পরিযায়ী পাখিদের ডিমে তা দেওয়া, বাচ্চা ফোটানো, বাচ্চাদের লালন-পালন, উড়তে শেখানো সহ প্রাত্যহিক জীবনচর্যা প্রত্যক্ষভাবে দেখতে পাবেন আগ্রহী পর্যটকেরা।
তবে এই মুহূর্তে আগ্রহী পর্যটকদের নিরাশ করবে এই সুখবর।
করোনা আবহে এখন বন্ধ রয়েছে এশিয়ার বৃহত্তম রায়গঞ্জ শহর সংলগ্ন কুলিক নদীর ধারে অবস্থিত কুলিক পক্ষীনিবাস। বন বিভাগের রায়গঞ্জের রেঞ্জার প্রমিতা লামা জানিয়েছেন, হতাশা সাময়িক, করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলেই পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হবে কুলিক পক্ষীনিবাস। প্রসঙ্গত, পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলি থেকে জুন জুলাই মাসে হাজার হাজার পরিযায়ী পাখিরা এসে ভীড় জমায় উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ শহর সংলগ্ন কুলিক নদীর ধারে অবস্থিত এশিয়ার বৃহত্তম কুলিক অরণ্যের পক্ষীনিবাসে। শামুকখোল, ইগ্রেট, করমোরেন্ট, নাইট হেরন সহ বিভিন্ন প্রজাতির পরিযায়ী পাখিরা রায়গঞ্জের এই কুলিক পক্ষীনিবাসে এসে বাসা বাঁধে, সঙ্গী নির্বাচন করে প্রজননের মাধ্যমে ডিম ফুটিয়ে শাবকের জন্ম দেন। শাবকদের লালনপালন করা তাদের উড়তে শেখানো সবই করে এই পক্ষীনিবাসে। পর্যটকেরা দূর থেকেই দেখে থাকেন পাখিদের কলা কৌশল। জুলাই থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত পরিযায়ী পাখিদের কলতানে মুখরিত হয়ে ওঠে কুলিক পক্ষীনিবাস।
আরও পড়ুন, আজ মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট নিয়ে মামলা শুনানি কলকাতা হাইকোর্টে, কী বলবে রাজ্য
এবার কাছ থেকে পাখিদের এই কলা কৌশল দেখার জন্য রায়গঞ্জ বন বিভাগ থেকে কুলিক পাখিরালয়ের ওয়াচ টাওয়ারে বসানো হলো মনোকুলার। এই মনোকুলার মাধ্যমে কাছ থেকে পাখিদের নানান কলা কৌশল দেখতে পাবেন পর্যটকেরা। এদিন এই মনোকুলারের উদ্বোধন করেন ডিএফও সিদ্ধার্থ। রায়গঞ্জ রেঞ্জের রেঞ্জার প্রমিতা লামা জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হবে রায়গঞ্জের এই কুলিক পক্ষীনিবাস। তখন পর্যটকেরা এই মনোকুলারের মাধ্যমে কাছ থেকে পাখিদের কলা কৌশলের দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন।