লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে আবেদনের সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়ে গিয়েছে। নির্বাচনী বিধি লাগু হওয়ার জন্য ক্যাম্প বন্ধ হয়ে যায়।
উৎসবের মুখে (Before DurgaPuja) ৩ লাখের অধিক মহিলার অ্যাকাউন্টে (Bank Account) লক্ষীর ভান্ডার(Lakshmi Bhandar Account) প্রকল্পে নগদ টাকা! ভোট পর্ব (Assembly Election) মিটে যেতেই প্রায় ১০ লাখের (10 lakhs) বেশি মহিলা আবেদনকারীর মধ্যে (Women Applicant) এই টাকা জমা পড়ল। প্রথম দফায় ৩ লক্ষ মহিলা পুজোর মুখে লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পে টাকা পেলেন। মুর্শিদাবাদ জুড়ে তাই খুশির হাওয়া।
মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসনের কর্তারা জানিয়েছেন এই খুশির খবর। স্বাভাবিকভাবেই উৎসবের মুখে এই খবরে বৃহস্পতিবার রীতিমতো স্বস্তির মেজাজ দেখা দিয়েছে জেলার উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বত্র। নির্বাচনী বিধি লাগু হয়ে যাওয়ায় হঠাৎ করেই জেলায় দুয়ারে সরকার কর্মসূচি বাতিল করতে হয়েছিল। তবে তার আগেই অধিকাংশ মহিলা এই প্রকল্পের জন্য নাম নথিভুক্ত করেছেন। বাকিরা পুজোর পরে নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন বলে জানানো হয়েছিল।
অতিরিক্ত জেলাশাসক সিরাজ দানেশ্বর সংবাদমাধ্যমকে জানান বলেন, যাঁদের আবেদন গৃহীত হয়েছে তাঁরা প্রত্যেকেই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। কোথাও কোনো সমস্যা হবে না। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য সবচেয়ে বেশি আবেদন জমা পড়েছিল। ক্যাম্প শুরু হওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই সমস্ত প্রকল্পের জন্য জেলায় প্রায় ৮ লাখের বেশি আবেদন জমা পড়েছিল। তার মধ্যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে ৬লাখের কাছাকাছি আবেদন জমা পড়ে।
মিহিদানার পর এবার পালা সীতাভোগের, বাংলার মিষ্টি পাড়ি দিল মধ্যপ্রাচ্যে
স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের জন্য এক লক্ষ ১৯হাজার আবেদন জমা হয়। তারপর মাত্র কয়েকটি ক্যাম্প হয়েছিল। এর মধ্যেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে আবেদনের সংখ্যা ১০ লাখ ছাড়িয়ে গিয়েছে। নির্বাচনী বিধি লাগু হওয়ার জন্য ক্যাম্প বন্ধ হয়ে যায়। এক আধিকারিক বলেন, আবেদনকারী সকলেরই অ্যাকাউন্টে ধাপে ধাপে টাকা ঢুকতে শুরু করবে। তার আগে মোবাইলে মেসেজ দেওয়া হবে। বিভ্রান্ত হওয়ার দরকার নেই।
খুশির খবর, রাজ্য সরকারের উদ্যোগে পুজোর আগেই চালু নতুন শিল্প, মিলবে প্রচুর চাকরি
প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, নির্বাচনী বিধি লাগু থাকার কারণে জেলার সমস্ত উন্নয়নমূলক কাজ বন্ধ ছিল। এবার সেই কাজও শুরু হয়েছে। প্রসঙ্গত, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প নিয়ে দুই বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটও সরগরম হয়ে উঠেছিল। তৃণমূল এই প্রকল্পটিকে সামনে রেখে জোরদার প্রচার করে। তার সুফলও তারা পেয়েছে। মহিলাদের বড় অংশের সমর্থন তারা পেয়েছে। যদিও গ্রামের সাধারণ মহিলারা বলছেন, "যতক্ষণ না পর্যন্ত টাকা নিজের নিজের একাউন্টে ঢুকেছে তার আগে পর্যন্ত স্বস্তি হচ্ছেন না আমাদের"।