সংগঠন সূত্রে জানানো হয়েছে, রাজ্যের সমগ্র শিক্ষা অভিযানের শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীদের বিভিন্ন পেশাগত সমস্যার সমাধানের জন্য এই অভিযান।
ফের রাস্তায় নামল শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চ (Teacher Oikya Manch)। বেশ কিছু পুরনো দাবি নিয়ে বিকাশ ভবনে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর (Bratya Basu) কাছে ডেপুটেশন (Deputation) ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিকর্তার কাছে ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি সল্টলেকের (Salt Lake) ময়ূখ ভবন (Mayukh Bhavan) থেকে করুণাময়ী (Karunamoyee) পর্যন্ত মিছিল (Rally) করে তারা। করুণাময়ী মোড়ে রাস্তা অবরোধ (Road Block) করে রাজ্যপালের (Governor) অপসারণ ও জাতীয় শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে রাজ্যপালের কুশপুতুল (Effigy) দাহ করা হয়।
সংগঠন সূত্রে জানানো হয়েছে, রাজ্যের সমগ্র শিক্ষা অভিযানের শিক্ষক (Teacher), শিক্ষাকর্মীদের বিভিন্ন পেশাগত সমস্যার সমাধানের জন্য এই অভিযান। তাঁদের অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গ শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের পক্ষ থেকে রাজ্যের সমগ্র শিক্ষা অভিযানের শিক্ষক শিক্ষা কর্মীদের বিভিন্ন পেশাগত সমস্যার সমাধানের জন্যে এই অভিযান। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ঘোষণার পর একবছর অতিক্রম হলেও অনেক দাবি আজও কার্যকর হয়নি। গত ২৪ নভেম্বর সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করার পরও তিনমাস অতিক্রম হয়ে গেলেও বিভিন্ন কারণে সেগুলো কার্যকর হয়নি।
আরও পড়ুন- পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে পড়ল জল, মমতার উত্তরকন্যার বৈঠকে বিজেপি সাংসদের উপস্থিতিতে শোরগোল
আন্দোলনকারীদের দাবি, গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে অন্যরা বার্ষিক ৩ পার্সেন্ট ইনক্রিমেন্ট ও অবসরকালীন তিন লক্ষ টাকা সুবিধা পেলেও একাডেমিক সুপাভাইজার এবং যাদের চাকরির মেয়াদ ৬৫ বছর তারা আজও সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত। ঘোষণা সত্ত্বেও পৌরসভার অধীনস্ত এসএসকে/এমএসকে/এএস-রা আজও শিক্ষা দফতরে যুক্ত হওয়া থেকে বঞ্চিত। তারা বার্ষিক ৩ পার্সেন্ট ইনক্রিমেন্ট ও অবসর কালীন তিন লক্ষ টাকা থেকে বঞ্চিত।
আরও পড়ুন-হিজাব পরা মেয়েই একদিন দেশের প্রধানমন্ত্রী হবে, ওয়েইসির মন্তব্য ঘিরে ফের বিতর্কের ঝড়
আরও পড়ুন- 'এনামূলকে চিনি না', ৫ ঘণ্টা পর সিবিআই দফতর থেকে বেরিয়ে দাবি দেবের
তাদের আরও দাবি, ঘোষণা সত্ত্বেও প্যারা টিচারদের (মহিলা) সাধারণ বদলির অর্ডার আজও বের হয়নি। সমগ্র শিক্ষা অভিযানের অন্যরা ইপিএফের সুবিধা ২০১৫ সাল থেকে পাচ্ছেন কিন্তু এসএসকে/এমএসকে/এএস-দের ইপিএফ চালু হয়নি। রাজ্যের সমগ্র শিক্ষা অভিযানের কর্মীদের বেতন অনেক কম ফলে বর্তমান বাজারমূল্য অনুসারে সম্মানজনক বেতন বৃদ্ধি করা। এর পাশাপাশি সাত দফা দাবি নিয়ে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিকর্তার কাছেও ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছে।