অরণ্য সপ্তাহ পালনের মধ্য দিয়ে রাজ্য সরকার মানুষকে বৃক্ষ রোপণে উৎসাহিত করে চলেছে। মুলত গ্রামীণ মানুষকে ওই প্রকল্পের আওতায় আনতে সরকার একাধিক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে
অরণ্য সপ্তাহ পালনের মধ্য দিয়ে রাজ্য সরকার মানুষকে বৃক্ষ রোপণে উৎসাহিত করে চলেছে। মুলত গ্রামীণ মানুষকে ওই প্রকল্পের আওতায় আনতে সরকার একাধিক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এর ফলে কৃষিজীবী তো বটেই গ্রামের সাধারণ মানুষ যেমন গাছ লাগিয়ে সরকারের আর্থিক সাহায্য লাভ করছেন । আবার সরকারের প্রকল্পে গাছ লাগিয়ে ওই গাছের মালিকানা লাভ করছেন উপভোক্তা নিজেই।
এদিকে প্রকল্পে গতি আনতে ব্যবহার করা হচ্ছে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদেরও । এই কাজেই একশো দিনের প্রকল্পকে কাজে লাগিয়ে অভিনব রেকর্ড জেলা প্রশাসনের। বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসন জানায়, বৃক্ষ রোপনে জেলায় রেকর্ড গড়ে নজির তৈরি করেছে নবগ্রাম ব্লক প্রশাসন। ওই প্রকল্পের আওতায় তুঁত চাষকে ভুক্ত করে রেশম চাষিদের উৎসাহিত করার চেষ্টা চলছে বলে এদিন দাবি করেছেন নবগ্রাম ব্লকের জয়েন্ট বিডিও অনির্বাণ সাহা।
তিনি বলেন, “এবছর এলাকায় প্রায় ছ কোটিরও বেশি গাছ রোপণ করা হচ্ছে।” নির্বাচন ও করোনার ফলে প্রকল্পের কাজ কিছুটা ব্যাহত হলেও জেলায় ফের রেকর্ড গড়বে নবগ্রাম বলেও দাবি করেন অনির্বাণ বাবু। ইতিমধ্যে ব্লকের বেশির ভাগ গ্রাম পঞ্চায়েতে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগানো শুরু করা গিয়েছে। বৃক্ষের পাশাপাশি ফলের গাছ লাগানোর দিকেও নজর দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয় বিধায়ক কানাই চন্দ্র মন্ডল ।
Bank holidays 2021:অগাষ্ট মাসে ১৫ দিন বন্ধ থাকবে ব্যাংক, রইল পুরো তালিকা
Vastu Tips: বেডরুমের এক কোণায় রেখে দিন নুন, সংসারে ফিরবে শান্তি-সমৃদ্ধি
জানেন কী, আপনার জীবন থেকে কেটে নেওয়া হচ্ছে এক এক সেকেন্ড আয়ু
তিনি বলেন , “ওই কাজ পঞ্চায়েত স্তরের হলেও আমরা সকল স্তরের নির্বাচিত সদস্য মনিটারিং করে থাকি।” এবছর এলাকায় আম, জাম,নারকেল, লেবু, ড্রাগন ফ্রুট গাছ লাগান হচ্ছে। এছাড়াও ব্লকের রসুলপুর, হজবিবিডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় তুঁত চাষের প্রধান্য থাকায় ওই এলাকায় মালবেরি প্রজাতির গাছ দেওয়া হচ্ছে চাষিকে । এক জন উপভোক্তা গাছ লাগালে ওই গাছ পরিচর্যার জন্য তাকে দেওয়া হচ্ছে প্রায় ৪০ কেজি জৈব সার এবং একশো দিনের কাজের মূল্য অর্থাৎ ২১৩ টাকা করে ৯০ দিনের কর্ম দিবসের পারিশ্রমিক।
এই ব্যাপারে নারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের টুনি ঘোষ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা বলেন , “বন সৃজন প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা মহিলারা যেমন ১০০ দিনের কাজের টাকা পাচ্ছি। তেমনি ভবিষ্যতেও আমাদের আর্থিক নিশ্চয়তার পথ প্রশস্ত হচ্ছে।” একই ভাবে তুঁত চাষিদের মধ্যেও নতুন করে তুঁত চাষে উৎসাহ লক্ষ্য করা গিয়েছে। সুতরাং বন সৃজন প্রকল্পকে ঘিরে নবগ্রাম ব্লকের মানুষ এই করোনা আবহে যেমন কর্মসংস্থানের সুযোগ পেয়েছেন, তার পাশাপাশি এলাকার সবুজায়নেও বিকাশ ঘটে চলেছে ।