ব্রিটিশ আমলের শতাব্দী প্রাচীন বাঁচাতে পদক্ষেপ নবান্নের, বরাদ্দ হল পাঁচ কোটি টাকা

ইন্দো-বাংলা সীমান্তে ব্রিটিশ আমলের শতাব্দী প্রাচীন ব্রিজ বাঁচাতে পদক্ষেপ রাজ্যের। মুর্শিদাবাদে নবান্নের নির্দেশে ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ।

Parna Sengupta | Published : Aug 13, 2021 10:16 AM IST

ইন্দো-বাংলা সীমান্তে ব্রিটিশ আমলের (British period) শতাব্দী প্রাচীন ব্রিজ (century-old bridge) বাঁচাতে পদক্ষেপ রাজ্যের। মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) নবান্নের (Nabanna) নির্দেশে ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ।

 রাজ্য সেচ দপ্তরের তত্ত্বাবধানে মুর্শিদাবাদের সীমান্তবর্তী জনপদ মহিষাস্থলী এলাকায় অবস্থিত ব্রিটিশ আমলের কয়েক শতাব্দী প্রাচীন ব্রিজের সংস্কার কাজ শুরু হল। শুক্রবার থেকেই এই কাজ শুরু হয়। 

ব্রিজ সংরক্ষণ ও নির্মাণের কাজ শুরু হওয়ায় খুশি এলাকাবাসী। এদিন ওই গ্রামে রাজ্য সেচ দপ্তর ও নবান্নের এক প্রতিনিধি দল সরেজমিনে খতিয়ে দেখে ব্রিজের অবস্থা। এই ব্যাপারে বিডিও উৎপল কুমার মজুমদার সংবাদমাধ্যমকে জানান, স্থানীয় কিছু মানুষের বিরোধিতার কারনে ওই ব্রিজের কাজ বন্ধ ছিল । বারবার এলাকার মানুষের সঙ্গে অলোচনা করে সমাধান সুত্র বের করা হয়েছে"। 

স্থানীয় হোসেননগর, কুচগেরিয়ে,পাইকপাড়া,ছকন্নগর সহ এলাকার প্রায় ১২টি গ্রামের মানুষকে এতদিন একটি নড়বড়ে অস্থায়ী ব্রিজ পেরিয়ে ট্রেন ধরতেই হোক কিংবা রাজ্য সড়কে উঠতে হত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। ওই ব্রিজ পেরতে গিয়ে একাধিক মানুষকে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে, হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। সে কথা মাথায় রেখে নবান্নের পক্ষ থেকে ব্রিটিশ আমলের গোবরা নালার উপর ৭৬ মিটারের একটি ব্রিজ নির্মাণের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। এর জন্য প্রায় ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। 

এলাকাবাসী জানায়, এর আগে ঐ ওই ব্রিজ নির্মাণ করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু ওই ব্রিজের নির্মাণ এর কাজ শুরু করতে গিয়ে কয়েকটি বাড়ি ভাঙা পড়ে এই অভিযোগ এনে এলাকার মানুষ ব্রিজ নির্মানের কাজ বন্ধ করে দেন। স্থানীয় বাসিন্দা জামালুদ্দিন শেখ তাঞ্জিরা বিবিদের অভিযোগ,“ব্রিজের সংযোগকাী রাস্তাটি আগের পুরোনো রাস্তা দিয়ে না নিয়ে গিয়ে একটু ঘুরিয়ে দিয়ে নতুন করে সংযোগ রাস্তা করা হচ্ছে। এর ফলে বেশ কয়েকটি বাড়ি আবারোও ভাঙা পড়বে। অথচ আগের রাস্তাটি ব্যাবহার করলে কোনও ক্ষতি হত না।” 

কিন্তু নবান্নের প্রতিনিধি দল ও স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের তৎপরতায় ফের এদিন থেকে থমকে থাকা ব্রিজের কাজটি শুরু করা গেল । এই ব্যাপারে স্থানীয় প্রবীন নাগরিক আব্দুল গফুর শেখ ,আবুল কালমরা বলেন , “এই ভাবে কত কাজ শতকের পর শতক বন্ধ হয়ে পড়ে থাকে। ভেবেছিলাম একই ভাবে ব্রিজের কাজটিও বন্ধ হয়ে গেল । কিন্তু সেচ দপ্তর নবান্নের আধিকারিকরা যৌথভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করায় ব্রিটিশ আমলের এই সেতু তৈরি করার কাজ শুরু হওয়ায় আমরা খুশি।”

Share this article
click me!