Murshidabad School: ছাত্রী নেই সরকারি স্কুলে, হাইকোর্টে বদলির আবেদন শিক্ষিকার

২০১৪ সালে পঞ্চম শ্রেনীতে ভর্তি হয় মাত্র এক জন ছাত্রী। কিন্তু ২০১৯ সালে ফের পড়ুয়া শূন্য হয়ে পড়ে ওই বালিকা বিদ্যালয়।

স্কুল ভবন(school) রয়েছে, সাইন বোর্ডে উজ্বল অক্ষরে লেখা রয়েছে রাজারামপুর জুনিয়ার গার্লস হাই স্কুল(Junior girls high school)। টিচার অবশ্য রয়েছেন একজন কিন্তু পড়ুয়ার সংখ্যা শূন্য।আর তাতেই ওই শিক্ষিকা বদলির আবেদন করে অবশেষে দ্বারস্থ হয়েছেন হাইকোর্টের। শিক্ষিকার বদলি এখন আদালতের বিচারধীন। সাফাই দিয়ে এ ব্যাপারে মুখ খুলতে নারাজ হয়েছেন লালগোলা দক্ষিন চক্রের এস আই দীপঙ্কর রায়। 

মহিলা শিক্ষার প্রসার ঘটাতে সীমান্তবর্তী মুর্শিদাবাদের পাইকপাড়ার রাজারামপুর এলাকায় ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় রাজারামপুর জুনিয়ার গার্লস হাইস্কুল। ওই বালিকা বিদ্যালয়ে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রীরা পড়াশুনা করার সুযোগ পাওয়ার কথা। শুরুতে ১০জন মত পড়ুয়া থাকলেও ২০১৯ সাল থেকেই ওই বিদ্যালয় পড়ুয়া শূন্য হয়ে পড়ে। এদিকে ২০১৩ সালে ওই বিদ্যালয়ে স্থায়ী শিক্ষিকা হিসেবে কাজে যোগ দেন কলকাতার সল্টলেকের বাসিন্দা অমীয়া দত্ত। বিদ্যালয়ে গিয়ে তিনি লক্ষ্য করেন বিদ্যালয় ভবন রয়েছে কিন্তু বিদ্যালয় পরিচালনের ক্ষেত্রে ওই একমাত্র শিক্ষক ছাড়া আর কেউ নেই।

Latest Videos

ফলে ওই বিদ্যালয় খোলা থেকে বন্ধ করা,বিদ্যালয় পরিষ্কার করা,জল নিয়ে আসা সব কিছু তাকেই করতে হয়। ২০১৪ সালে পঞ্চম শ্রেনীতে ভর্তি হয় মাত্র এক জন ছাত্রী। কিন্তু ২০১৯ সালে ফের পড়ুয়া শূন্য হয়ে পড়ে ওই বালিকা বিদ্যালয়। কিন্তু কেন ওই বিদ্যালয়মুখী হতে চায় না এলাকার ছাত্রীরা জানতে চাওয়া হলে এলাকার বাসিন্দা রুহুল আমীন বলেন,“ওই স্কুল সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে রাজারামপুর হাই স্কুল, সেখান থেকে মাত্র ২ কিমি দূরে হরিপুর হাই মাদ্রাসা। তাহলে কোন অভিভাবক জুনিয়ার হাই স্কুলে তার মেয়েকে পড়াতে পাঠাবে।”

একধাপ এগিয়ে আরেক বাসিন্দা সাইদুল ইসলাম বলেন, “একজন শিক্ষিকা দিয়ে কখনও বিদ্যালয় চলে। এক জনের পক্ষে পড়ুয়াকে সব বিষয়ের পাঠ দেওয়া সম্ভব নয় বলেই কেউ ওই স্কুলে যেতে চায় না।” বাসিন্দাদের দাবি পরিকল্পনাবিহীন ভাবে ওই বিদ্যালয় গড়ে তোলা হয়েছিল বলেই পড়ুয়া শূন্য হয়েছে বিদ্যালয়টি। 

এই ব্যাপারে বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা অমীয়া দত্ত বলেন, “স্কুলটির পরিস্থিতি লক্ষ্য করে আমি ২০১৬ সাল থেকে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বদলির আবেদন করে আসছি। কিন্তু তাতে কোনও রকম সাড়া না পেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছি। এখন আদালতের রায়ের দিকে তাকিয়ে আছি।” তবে অন্য কথা শোনাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির লালগোলা দক্ষিণ চক্রের সভাপতি রুমেল হাসান। তার দাবি, “ওই শিক্ষিকা কোন নিয়ম নীতি মানেন না। আসলে ওনার কারনেই ওই বিদ্যালয় এখন পড়ুয়াশূন্য হয়েছে।”

Share this article
click me!

Latest Videos

'ভাইপোর চাকর পুলিশ কেন বিজেপি পোলিং এজেন্টদের গ্রেফতার করল?' গর্জে উঠে প্রশ্ন তুললেন শুভেন্দু
'পুলিশ ও তৃণমূলের গুণ্ডারা সর্বত্র ভোট লুট করেছে' মারাত্মক অভিযোগ সুজন চক্রবর্তীর
বাজার থেকে ফেরার পথেই ঘটলো অঘটন! আতঙ্কের ছায়া শান্তিপুরে, দেখুন | Nadia News Today
'কত বড় সাহস! পুলিশ বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলেছে ভোট দিতে যাবে না' এ কী অভিযোগ করলেন শুভেন্দু
আর ৮ মাস! জুলাই-অগাস্টে রাজ্যে অকাল ভোট হতে চলেছে! জানালেন BJP সাংসদ | BJP News | Samik Bhattacharya