এলাকার স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, "স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্ত হয়েই ওই ছাত্রের মৃত্যু ঘটেছে। পুরো বিষয়টির উপর আমরা নজর রেখেছি।" জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত জেলায় প্রায় ৭০০ জনের শরীরে মিলেছে স্ক্রাব টাইফাসের জীবাণু।
করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই স্ক্রাব টাইফাসের আতঙ্ক ছড়াল মুর্শিদাবাদে। এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক স্কুল ছাত্রের। মঙ্গলবার এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই জেলার উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বত্রই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। মৃতের নাম বাপন ঘোষ (১৩)। স্থানীয় বাজারসৌ হাইস্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ছিল সে।
দিন কয়েক আগে গবাদি পশুর জন্য মাঠে ঘাস কাটতে গিয়েছিল বাপন। সেখানে তার হাতের কব্জিতে কোনও এক বিষাক্ত পোকা কামড়ায়। সঙ্গে সঙ্গে হাতে তীব্র জ্বালা করতে শুরু করে। এরপর মাঠ থেকে ছুটে বাড়িতে চলে যায় সে। যন্ত্রণার চোটে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। শুরু হয় বমি। এরপর তাকে প্রথমে শক্তিপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে বহরমপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
এলাকার স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, "স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্ত হয়েই ওই ছাত্রের মৃত্যু ঘটেছে। পুরো বিষয়টির উপর আমরা নজর রেখেছি।" জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত জেলায় প্রায় ৭০০ জনের শরীরে মিলেছে স্ক্রাব টাইফাসের জীবাণু।
আরও পড়ুন- ক্রমশ ছোট হচ্ছে শরীর-কমছে উচ্চতা, বিরল রোগে আক্রান্ত ২৮ বছরের মেয়ে
আরও পড়ুন- অনাস্থা আনার 'শাস্তি', বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যাকে অপহরণের অভিযোগ তৃণমূল প্রধানের বিরুদ্ধে
প্রসঙ্গত, বছর দুয়েক আগে ২০১৯-এ এই রোগের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল। আর তখন সেই রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুও হয়েছিল বহরমপুর, নবগ্রাম, বেলডাঙার একাধিক মানুষের। বয়স্কদের পাশাপাশি তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন শিশুও ছিল। এবারেও শিশুরা আক্রান্ত হয়েছে এই রোগে। সাধারণ একপ্রকার কীট দ্বারা আক্রান্তের পরেই রোগীর জ্বর আসে। তবে জ্বর হলেই যে করোনা বা স্ক্রাব টাইফাসে সেই ব্যক্তি আক্রান্ত তেমন কোনও কথা না থাকলেও অপেক্ষা না করে চিকিৎসকদের পরামর্শ নেওয়ার কথা বলছেন জেলা স্বাস্থ্য দফতরের চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন- 'জাতীয়তাবাদী ভাবমূর্তি' তুলে ধরার চেষ্টা, এবারই প্রথম ১৫ অগাস্ট জাতীয় পতাকা তুলবে সিপিএম
জ্বর, বমি, গায়ে ব্যথা প্রাথমিকভাবে স্ক্রাব টাইফাসের লক্ষণ হিসেবে ধরা না হলেও জ্বর দু’সপ্তাহের বেশি থাকলে রক্ত পরীক্ষা করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। এই বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, "বর্ষার সময় এমন ঘটনার প্রকোপ যদি বাড়তে শুরু করে তাহলে আমাদের অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যাবে। একদিকে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের হাতছানি তার মধ্যে স্কাব টাইফাস।"