ছুটির পরে স্কুলের ভেতরে পিকনিক-মদ্যপান শিক্ষকদের, অবিভাবকদের প্রতিবাদে সরগরম কেশপুর

স্থানীয় একদল অভিভাবকের অভিযোগ শনিবার হাফ ছুটির পর মোচ্ছবের আয়োজন হয়েছিল স্কুলে। পাঁঠা কেটে ওখানেই রাঁধা হয়েছে মাংস আর ভাত। সঙ্গে চলেছে দেদার মদ।

Jaydeep Das | Published : Feb 21, 2022 8:08 PM IST

স্কুল ছুটির পরে বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা স্থানীয়দের নিয়ে পিকিনিক করেছেন বিদ্যালয়ের ভেতরে, এমনকি সেখানে মদ্যপানও হয়েছে। এমন অভিযোগ করে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর থানার মাইপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিক্ষোভ দেখালেন একদল অভিভাবক৷ বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের বের করে ভেতরে শিক্ষকদের রেখেই তালা বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ৷ পোস্টার লাগিয়ে দেওয়া হয় বিদ্যালয়ে৷ পুরো বিষয়ে উত্তেজনা তৈরি হয় সোমবার বিদ্যালয় চত্বরে।

স্থানীয় একদল অভিভাবকের অভিযোগ শনিবার হাফ ছুটির পর মোচ্ছবের আয়োজন হয়েছিল স্কুলে। পাঁঠা কেটে ওখানেই রাঁধা হয়েছে মাংস আর ভাত। সঙ্গে চলেছে দেদার মদ। এটা বিদ্যালয়ের পরিবেশকে নষ্ট করছে বলে দাবি তাদের। তারা এই ঘটনায় দোষীদের শাস্তিরও দাবি করেছেন। এদিকে সোমবার স্কুল খুলতেই এই নিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন খুদে পড়ুয়াদের বাবা, মায়েরা। তাঁদের প্রশ্ন, বাচ্চাদের স্কুলে কেন মদ্যপান করা হবে। অভিভাবকদের হাতে সোমবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হয় বিক্ষোভ। চলে দুপুর পর্যন্ত। অভিভাবকদের প্রতিবাদের জেরেই স্কুলে আসা পড়ুয়াদের বাড়ি যেতে হয়। গন্ডগোলের খবর পেয়েই স্কুল কর্তৃপক্ষের থেকে রিপোর্ট তলব করেছে জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষা দফতর। এদিকে এই ঘটনার খবর চাউর হতেই নিন্দার ঝড় উঠেছে শিক্ষামহলের অন্দরেও। এমনকী অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তির দাবিও তুলেছেন নাগরিক মহলের একটা বড় অংশ।  

আরও পড়ুন- সাহস থাকলে সিবিআই তদন্ত টাক রাজ্য, আনিস কাণ্ডে মমতাকে তোপ দিলীপের

আরও পড়ুন- কতটা শান্তিপূর্ণ ভোট হল উত্তরপ্রদেশে, তৃতীয় দফার নির্বাচন শেষে পাল্লা ভারী কার

এদিকে ঘটনা প্রসঙ্গে স্কুলের প্রধান শিক্ষক স্বপন মিশ্র জানান, “স্কুলের এক শিক্ষকের সদ্যই বিয়ে হয়েছে। তিনিই পড়ুয়া এবং বাকি শিক্ষকদের সোমবার খাওয়াতে চাওয়ায় তার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। মদ্যপানের ঘটনা ঘটেছে বলে আমার জানা নেই। তবে স্থানীয়দের একটা অংশই জানাচ্ছেন, অভিযোগ ভিত্তিহীন। আসলে এটা বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির পুরনো ও নতুন দের গন্ডগোলের কারনে এই সমস্যা। কারণ এই খাওয়া-দাওয়ার কর্মসূচিতে স্কুলের শিক্ষকরা সহ রাঁধুনি ও গ্রামের পরিচালন কমিটির অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ ভিত্তিহীন।” শিক্ষকদের তরফে মৌখিকভাবে পুলিশকে পুরো বিষয়টি জানানো হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। তবে তারপরেও কমছে না জনরোষ। বিদ্যালয়ের মতো এরকম পবিত্র জায়গায় কি করে মদরে আসর বসতে পারে সেই বিষয়ে উঠছে প্রশ্ন। অন্যদিকে শেষ পাওয়া আপডেট অনুসারে এই বিষয়ে থানায় এখনও পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। 

আরও পড়ুন- আনিস মৃত্যুতে বড় পদক্ষেপ কলকাতা হাইকোর্টের, কবে শুরু হচ্ছে স্বতঃপ্রণোদিত মামলার শুনানি

আরও পড়ুন- নয়া শিক্ষানীতির বাস্তবায়নে ব্যাপক ভাবে সাহায্য করবে এবারের বাজেট, দাবি মোদীর

Share this article
click me!