'স্বাধীনতা সংগ্রামে শক্তি যুগিয়েছে রবীন্দ্রসঙ্গীত', বিশ্বভারতীর ভূমিকায় প্রশংসায় পঞ্চমুখ ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী। 'আত্মনির্ভর ভারতের সূচনা হয়েছিল রবীন্দ্রনাথের কাছ থেকেই' ভার্চুয়াল ভাষণে একাধিক গানের অন্তর্নিহিত অর্থ নিয়ে কথা বলেন মোদী।
'যদি ডাক শুনে কেউ না আসে, তবে একলা চলো রে' গানের উল্লেখ করে রবিঠাকুরের গানের শক্তির কথা বলেন। এই গানের কথা-সুর সবকিছুই যে ভারতে স্বাধীনতা সংগ্রামে সাহস এবং শক্তি যুগিয়েছে, মেনে নিয়েছেন মোদী। তিনি নিজমুখে বাংলায় আরও একবার 'ওরে গৃহবাসী' গানের লাইনগুলি উচ্চারণ করেন। বলেন রবিঠাকুর এই গানের মাধ্যমে ভারতে নতুন সম্ভাবনার অঙ্গীকার করেছেন। রবি ঠাকুরের বলা আরও একটি কথায় অনুপ্রাণিত হয়ে বলেন, গুরুদেব বলেছেন, সবার সঙ্গে যা বাঁচতে শেখায় সেই জ্ঞানই সর্বোচ্চ। বলতে গিয়ে,' চিত্ত যেথা ভয়শূন্য-উচ্চ যেথা শির', এই গানেরও উদাহরণ টানেন।
বিশ্বভারতীর শতবর্ষ উদযাপনে অংশ নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রসঙ্গত, ১৯২১ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠা করেন। দেশের প্রাচিনতম বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে অন্যতম হল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। পদাধিকার বলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য। ১৯৫১ সালে মে মাসে বিশ্বভারতীকে সংসদীয় আইনের দ্বারা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা দেওয়া হয়। জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতিও দেওয়া হয়। এখনও অবধি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাবধারা এবং মতাদর্শকেই গুরুত্ব দেওয়া হয় বিশ্বভারতীতে।