ওই ব্যক্তির কাছ থেকে মোট যতগুলি সোনার বিস্কুট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে সেগুলির আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৪৯ লক্ষ টাকার কাছাকাছি বলে জানা যাচ্ছে। শনিবার ধৃতকে শিলিগুড়ি আদালতে তোলে হলে ইতিমধ্যেই তার জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত।
চোরাচালান যেন বেড়েই চলেছে গোটা বাংলায়। শনিবার ৬ টি সোনার বিস্কুট (golden biscuit) সহ একজনকে গ্রেফতার করল কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা দপ্তর (Central Revenue Intelligence Department)। ধৃতের নাম দীপঙ্কর তালুকদার। সূত্রের খবর, ধৃতের বাড়ি শিলিগুড়ি(siliguri) পুর নিগমের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে। শুক্রবার রাতে গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে (Jalpaiguri station) সরাইঘাট এক্সপ্রেস অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা দপ্তরের আধিকারিকেরা। সেখানেই এস-২ কামরাতে গা ঢাকা দিয়েছিল অভিযুক্ত। সেখান থেকেই হাতেনাতে সোনার বিস্কুট সহ দীপঙ্কর তালুকদার নামে ওই ব্যক্তিকে আটক করা হয়। তার কাছে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় ছয় পিস সোনার বিস্কুট। উদ্ধার হওয়া সোনার বিস্কুটগুলির এক একটির ওজন ১৬৬ গ্রাম করে বলে জানা যাচ্ছে।
এদিকে ওই ব্যক্তির কাছ থেকে মোট যতগুলি সোনার বিস্কুট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে সেগুলির আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৪৯ লক্ষ টাকার কাছাকাছি। শনিবার ধৃতকে শিলিগুড়ি আদালতে তোলে হলে ইতিমধ্যেই তার জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত। তবে শিলিগুড়ি সোনার বিস্কুট উদ্ধারে ঘটনা এই প্রথম নয়। গত বছরের একদম শেষার্ধে সাত কেজিরও বেশি সোনার বিস্কুট সহ শিলিগুড়িথেকে চারজনকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা দফতর। সেইবারও গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে রাজস্ব গোয়েন্দারা হাসমিচক থেকে বিহারের বাসিন্দা বাবলু কুমার পাসওয়ান ও সনু কুমার রাজ্জক নামে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের কাছ থেকে ২ কেজি ৬৭৭ গ্রাম সোনা উদ্ধার হয়। এছাড়াও তাদের কাছ থেকে ১ কোটি ১ লক্ষ ৩৮ হাজার টাকা।
আরও পড়ুন- যোগী-অখিলেশ নাকি মায়াবতী, বিধানসভায় কাকে চাইছে উত্তরপ্রদেশের সাধারণ মানুষ
অন্যদিকে গত অক্টোবর মাসে খাস কলকাতায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে বড়সড় সাফল্য পায় কাস্টমস। সেইবার মার্কুইস স্ট্রিটে একটি অফিস থেকে উদ্ধার করা হয় আড়াই কোটি টাকা মূল্যের সোনার বিস্কুট। গ্রেফতারও করা হয় বেশ কয়েকজনকে। অন্যদিকে চলতি মাসের ১৩ তারিখ কলকাতা বিমানবন্দরে কাস্টমস উদ্ধার করে ১.৬ কেজি আধা তরল (পেস্ট) সোনা, যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৬৬ লক্ষ টাকা বলে কাস্টমস সূত্রে জানা গিয়েছে।দুবাই থেকে কলকাতায় আসা একটি বিমানে এক যাত্রীর জিন্সের ভিতর থেকে ১.৬ কেজি ওই সোনার পেস্ট উদ্ধার হয় বলে জানা যায়। এদিকে একের পর এক এই ধরণের ঘটনায় সোনা পাচারকারীদের জাল যে বর্তমানে রাজ্যের একাধিক প্রান্তে বিস্তৃর্ত তা ভালোই বুঝতে পারছেন তদন্তকারীরা। আর সেই কথা মাথায় রেখেই গোটানো হচ্ছে তদন্তের জাল।