একজন ছাত্র, একজনই শিক্ষক, বাংলাতেই রয়েছে এমন সরকারি স্কুল

Published : Feb 04, 2020, 04:21 PM ISTUpdated : Feb 04, 2020, 04:22 PM IST
একজন ছাত্র, একজনই শিক্ষক, বাংলাতেই রয়েছে এমন সরকারি স্কুল

সংক্ষিপ্ত

হুগলির পোলবায় সরকারি স্কুলের বেহাল অবস্থা স্কুলে মাত্র একজন ছাত্র শিক্ষকের সংখ্যাও মাত্র এক বেশির ভাগ দিনই বন্ধ থাকে স্কুল  

উত্তম দত্ত, হুগলি: স্কুল আছে, ছাত্র আছে,শিক্ষকও আছেন। তবু বছরের বেশিরভাগ দিন তালা বন্ধ থাকে এই স্কুল। এই স্কুলে ছাত্র আর শিক্ষকের অনুপাত সমান। মাত্র একজন ছাত্র আর তাকে পড়ানোর জন্য রয়েছেন একজন মাত্র শিক্ষক। হুগলির পোলবার ভুয়াগাছি জুনিয়র হাই স্কুলের ছবিটা এ রকমই। 

 পোলবার এই স্কুলটি বছর পাঁচেক আগে চালু হয়। গ্রামের প্রাথমিক স্কুলে শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী পড়ে। প্রাথমিক স্তরের পরে শিক্ষার্থীরা যাতে গ্রামের স্কুলেই পড়তে পারে, সেই উদ্দেশ্যে  তৈরি করা হয়েছিল ভুয়াগাছি জুনিয়র হাই স্কুল। প্রথম বছর গ্রামের প্রাথমিক স্কুল থেকে পাশ করে বেশ কিছু পড়ুয়া এই স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি হয়। কিন্তু ভাল শিক্ষক না থাকায় পরের বছর অন্য স্কুলে চলে যায় তারা। প্রথমে অবসরপ্রাপ্ত দু' জন শিক্ষক স্কুল চালাতেন। কোনও স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ করা হয়নি। ফলে ছাত্র কমতে থাকে। এ বছর পড়ুয়ার সংখ্যা কমতে কমতে একজনে ঠেকেছে। তাও রোজ সে স্কুলে আসে না। শিক্ষকও দু' য়ের জায়গায় বর্তমানে একজন। তিনিও যেদিন আসেন না সেদিন তালা ঝোলে স্কুলে। 

আরও পড়ুন- গ্রেফতার প্রধানশিক্ষিকা ও এক অভিভাবিকা, সিএএ-বিরোধী নাটকে স্কুলে রোজ পুলিশি হেনস্থা

স্থানীয় গ্রামবাসীদের অভিযোগ, যে উদ্যেশ্য নিয়ে স্কুল চালু হয়েছিল তা ব্যর্থ হয়েছে। গ্রামের ছেলেমেয়েদের সেই দূরের স্কুলেই যেতে হচ্ছে। প্রথম অবস্থায় শৌচালয়, জল, বিদ্যুতের মতো প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো ছিল না। এখন সে সব সমস্যা মিটলেও স্কুলে শুধু ছাত্রছাত্রী নেই। ভুয়াগাছি প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষকের মতে, স্থায়ী শিক্ষক না থাকার পাশাপাশি মাধ্যমিক স্কুল না হওয়ায় অভিভাবকরা ছেলেমেয়েদের স্কুলে ভর্তি করতে চান না। দূর হলেও আকনা, সোনাটিকরি অথবা পোলবা হাই স্কুলে ভর্তি হচ্ছে পড়ুয়ারা। ভুয়াগাছির মতো রাজহাট গ্রাম পঞ্চায়েতেরই নলবোনা, কোরলাতে জুনিয়র হাই স্কুল তৈরি হলেও তা চালু হয়নি। 

হুগলি জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ গোপাল রায় জানান, মাধ্যমিক স্কুল না হওয়ায় অভিভাবকরা বাচ্চাদের স্কুলে ভর্তি করতে চাইছেন না। স্কুলে ছাত্রছাত্রী না থাকলে শিক্ষক দেওয়া যাবে না। এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলে ওই স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন গোপালবাবু। এই ধরনের স্কুলগুলিতে আগামী দিনে শিক্ষকও দেওয়া হবে। এই নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। 
 

PREV
click me!

Recommended Stories

১ বছর পরে ২ দিনের সফরে কোচবিহার যাচ্ছেন মমতা, রইল সোম ও মঙ্গলের ঠাসা কর্মসূচি
Dilip Ghosh: বাংলায় ‘বাবরি মসজিদ’! বিজেপির দিলীপ হুমায়ুনকে দিলেন চরম উপদেশ