পে কমিশনের সুপারিশ ছাপিয়ে বরাদ্দ মমতার, নতুন বছর থেকেই বাড়ছে বেতন

Published : Sep 23, 2019, 06:06 PM IST
পে কমিশনের সুপারিশ ছাপিয়ে বরাদ্দ মমতার, নতুন বছর থেকেই বাড়ছে বেতন

সংক্ষিপ্ত

ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুমোদন করল রাজ্য মন্ত্রিসভা বেতন কমিশনের সুপারিশ ছাপিয়ে বরাদ্দ মুখ্যমন্ত্রীর ১ জানুয়ারি, ২০২০ থেকে নতুন বেতনক্রম

ষষ্ঠ পে কমিশনের যাবতীয় সুপারিশ অনুমোদন করল রাজ্য মন্ত্রিসভা। ১ জানুয়ারি ২০১৬ থেকে বকেয়া ডিএ- সহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা পাবেন সরকারি কর্মীরা। কিন্তু তা কার্যকর হবে ১ জানুয়ারি ২০২০ সাল থেকে। অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র এ দিন নবান্নে যে হিসেব দিয়েছেন, সেই অনুয়ায়ী বর্তমানে কোনও রাজ্য সরকারি কর্মচারীর বেতন ১০০ টাকা হলে বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী তা বেড়ে ২৮০ টাকা হবে। 

এর পাশাপাশি গ্র্যাচুইটি, বাড়ি ভাড়া- সহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধার ক্ষেত্রেও বেতন কমিশনের সুপারিশের থেকেও বেশি বরাদ্দ করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই বাড়তি বরাদ্দের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। 

বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী, রাজ্য সরকারি কর্মীদের গ্র্যাচুইটির ঊর্ধ্বসীমা বাড়িয়ে ৬ লক্ষ থেকে ১০ লক্ষ করার কথা বলা হয়েছিল। সেটাই বাড়িয়ে করা হচ্ছে ১২ লক্ষ টাকা। অন্যদিকে বাড়ি ভাড়া ভাতা ৬ হাজার থেকে বাড়িয়ে ১০,৫০০ করার সুপারিশ করা হলেও মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছায় তা হচ্ছে ১২ হাজার। 

শুধু তাই নয় টিফিন ওভারটাইমের ক্ষেত্রেও দরাজ হয়েছে রাজ্য সরকার। বর্তমানে টিফিন ওভারটাইম বাবদ ঘণ্টা পিছু দশ টাকা এবং সারাদিনে সর্বোচ্চ ষাট পান একজন কর্মী। সেটাই বাড়িয়ে ঘণ্টায় কুড়ি টাকা এবং সর্বোচ্চ ১২০ টাকা করার সুপারিশ করেছিল বেতন কমিশন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছায় সেটাই বাড়িয়ে ঘণ্টায় ৩০ টাকা এবং সর্বোচ্চ দিনে ১৮০ টাকা করা হয়েছে। এক্সট্রা ডিউটি অ্যালাওয়েন্সও ২০০ থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করা হয়েছে। 

ইন্ডোর চিকিৎসার জন্য মেডিক্যাল ভাতা হিসেবে দৈনিক তিনশো টাকা করে বরাদ্দ করা হত কর্মীদের জন্য। পে কমিশনের সুপারিশের থেকেও বাড়িয়ে তা করা হল দৈনিক ৫০০ টাকা। ঊর্ধ্বসীমা করা হয়েছে সাড়ে তিন হাজার টাকা। 

ডিএ এবং প্রাপ্য নিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মীদের ক্ষোভ কমাতে মরিয়া ছিল রাজ্য সরকার। সরকারি কর্মীদের ক্ষোভ কোন পর্যায়ে গিয়েছে, তার নমুনা গত লোকসভা নির্বাচনেই পেয়েছে রাজ্যের শাসক দল। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তাই সরকারি কর্মীদের মন পেতেই হয়তো বেতন কমিশনের সুপারিশ ছাপিয়ে উদারহস্ত হলেন মুখ্যমন্ত্রী।  

PREV
click me!

Recommended Stories

Samik Bhattacharya: ‘SIR বন্ধ করে দিন তবুও ২০২৬-এ তৃণমূল হারবে!’ চ্যালেঞ্জ শমীকের
এই বাংলাতেই কেন বাবরি মসজিদ? তৃণমূলের গভীর 'গেম প্ল্যান'? কী বললেন শুভেন্দু, অধীর, সুজন, শুভঙ্কর?