'চব্বিশ সালেই বিধানসভা নির্বাচন হবে' বলে মমতার সরকারকে ইতিমধ্যেই নিশানা শুভেন্দুর। মূলত চব্বিশেই লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচন করানোর লক্ষ্যে বিজেপি।তবে সংবিধান ও আইনের জটিলতার জন্য সেই সাধ এখনও অপূর্ণই রয়ে গিয়েছে গেরুয়া শিবিরে।
'চব্বিশ সালেই বিধানসভা নির্বাচন হবে' বলে মমতার সরকারকে ইতিমধ্যেই নিশানা শুভেন্দুর। মূলত চব্বিশেই লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচন করানোর লক্ষ্যে বিজেপি। দীর্ঘ দিন ধরেই কেন্দ্রের পক্ষে সওয়াল করে এসেছে কেন্দ্রের শাসকদল। তবে সংবিধান ও আইনের জটিলতার জন্য সেই সাধ এখনও অপূর্ণই রয়ে গিয়েছে গেরুয়া শিবিরে। ভবিষ্যতে সেটা বাস্তবায়িত করা সম্ভব কিনা, তাও কেউ জানে না। এমনই সময় গর্জন করে উঠলেন রাজ্যের বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারী। শিশির পুত্রের দাবি, ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে অনুষ্ঠিত হবে, পশ্চিমবঙ্গের আগামী বিধানসভা নির্বাচন।
একুশের বিধানসভার আগে এবং বিধানসভার পরে তৃণমূলের ছবি পুরোটাই আলাদা
একুশের বিধানসভার আগে এবং বিধানসভার পরে তৃণমূলের ছবি পুরোটাই আলাদা। ভোটের আগে দেখা গিয়েছে তৃণমূলের নেতারা একের পর এক দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। একুশের বিধানসভার ঠিক আগে, বিজেপি যোগে, তৃণমূলের ভিতটা সব থেকে বেশি নাড়িয়ে দিয়েছিলেন শুভেন্দুই। তারপর একে একে অধিকারী পরিবার -সহ রাজীব দেরও দলত্যাগ দেখেছে রাজ্য। এদিকে ভোটের আগে বহুমুখী অনুষ্ঠান সূচি নিয়ে কেন্দ্র পঞ্চপাণ্ডবকে দায়িত্ব দিয়েছে। প্রায় প্রতি সপ্তাহে শাহ-নাড্ডা-মোদী এসে সফর করে গিয়েছে। এহেন ছবি বারবার উঠে আসায় ঘাসফুলের বুকধুকপুকের আওয়াজ গোটা রাজ্যই পেয়েছিল।
শুধু বুঝতে পারা যায়নি প্রকৃতই আমজনতার হৃদয় কেঁপেছে, কার জন্য
শুধু বুঝতে পারা যায়নি প্রকৃতই আমজনতার হৃদয় কেঁপেছে, কার জন্য। সেটা ঢের আমল পাওয়া গিয়েছে, একুশের বিধানসভা ভোটের ফলাফলের পর উলটপূরাণ দেখে। বিপুল সংখ্যক ভোটে তৃতীয়বারের সরকার গঠন করল মমতার সরকার। আর তারপরেই শুরু হল দলত্যাগীদের তৃণমূলে ফেরা এবং সেই সঙ্গে বিজেপির পুরোনো হেভিওয়েটদের ঘাসফুলে নাম লেখানো। যা ফল হিসেবে রাজ্যের একুশের বিধানসভার পরে হওয়া যদিও রাজ্যের বিরোধী দল নেতা হলেন শুভেন্দু অধিকারী।
আরও পড়ুন, 'কাকুর কাজ শেষ করাই আমার দায়িত্ব', ঝালদায় কংগ্রেসের প্রার্থী হলেন নিহত তপন কান্দুর ভাইপো
'২০২৪ সালেই হবে'-শুভেন্দু, শেষবার বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচন হয়েছিল ১৯৯১ সালে, জ্যোতি বসুর সময়কালে
যদিও এটা মানতে নারাজ শুভেন্দু। তার দাবি, তৃণমূলের সরকারের ৫ বছর পূরণ করা সম্ভব হবে না। বাঁকুড়ার সোনামুখীতে গিয়ে শুক্রবার শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ২০২৬ সাল পর্যন্ত পরবর্তী বিধানসভা ভোটের জন্য, অপেক্ষা করতে হবে না। ২০২৪ সালেই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। প্রসঙ্গত, রাজ্যে শেষবারে বিধানসভা এবং লোকসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৯১ সালে। সেবার জ্যোতি বসুর সরকারের ৫ বছর পূরণ হওয়ার একবছর আগেই রাজ্যে ভোট হয়েছিল। শুভেন্দুর দাবি, রাজ্যে যেভাবে আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে, কোষাগারের যেবেহাল দশা রাজ্য সরকার বানিয়ে রেখেছে, তাতে আগেভাগেই সরকার ভেঙে দিতে বাধ্য হবে তৃণমূল। যদিও শুভেন্দুর এই দাবি মানতে নারাজ তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
আরও দেখুন, পার্থ-পরেশের পর এবার তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লাকে তলব করল সিবিআই, কপাল পুড়ল আরও কাদের
'শুভেন্দু নিজেও জানেন , ওসব হবে না'-কুণাল
তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন,' সবাই বিজেপি ছাড়ছে। দিল্লির কাছে রাজ্যের নেতাদের বিশ্বাসযোগ্যাতা তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে।এই অবস্থায় মুখ রক্ষায়এই কথা বলা হচ্ছে। শুভেন্দু নিজেও জানেন , ওসব হবে না।'