দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় বিধানসভা কেন্দ্রের বড়ালিতে তৃণমূলের সভায় দশ হাজার আইএসএফ কর্মী যোগ দিলেন। তৃণমূল কংগ্রেসের ডায়মন্ডহারবার যাদবপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তীর হাত ধরে এদিন এই বিপুল সংখ্যক আইএসএফ কর্মী যোগ দেন তৃণমূলে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas)ভাঙড় বিধানসভা কেন্দ্রের বড়ালিতে তৃণমূলের সভায় দশ হাজার আইএসএফ কর্মী(Ten thousands ISF workers) যোগ দিলেন। তৃণমূল কংগ্রেসের ডায়মন্ডহারবার যাদবপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তীর হাত ধরে এদিন এই বিপুল সংখ্যক আইএসএফ কর্মী যোগ দেন তৃণমূলে। ভাঙড় ১-এর তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি কাইজার আহমেদের উদ্যোগে এদিনের এই রাজনৈতিক কর্মীসভায় হাজার হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। তাঁর উদ্যোগেই আইএসএফ ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন এই বিপুল সংখ্যক কর্মী সমর্থক।
তবে করোনা আবহে কিভাবে বিপুল জন সমাগম করে এই সভা সংগঠিত হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন ভাঙড়ের বিধায়ক তথা আইএসএফ নেতা নওসদ সিদ্দিকি। এদিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী সহ এলাকার তৃণমূল কংগ্রেস নেতা আরাবুল ইসলাম, বাহারুল ইসলাম, বাদল মোল্লা সহ অনান্যরা।
ভাঙড় বিধানসভা কেন্দ্রের জাগুলগাছি, প্রানগঞ্জ ও নারায়নপুর অঞ্চল থেকে নব্বই জন আইএসএফের অঞ্চল ও বুথ ভিত্তিক নেতা সহ প্রায় দশ হাজার কর্মীরা আইএসএফ ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন বলে জানান কাইজার আহমেদ। তাঁর দাবি তৃণমূল ছেড়ে যারা অন্য দলে গিয়েছিলেন তাঁদের বেশিরভাগ মানুষই এদিন ফিরে এসেছেন। সকলকে বুকে জড়িয়ে ধরে আগলে রাখার নির্দেশ দেন জেলা সভাপতি।
যদিও এদিনের এই সভা প্রসঙ্গে প্রশ্ন তুললেন এলাকার বিধায়ক তথা আইএসএফ চেয়ারম্যান নওসাদ সিদ্দিকী। তিনি জানান, করোনা আবহে কিভাবে তৃণমূল কংগ্রেস সভা করার অনুমতি পায়। সরকারি নিয়ম কি শুধুমাত্র বিরোধিদের জন্য? পাশাপাশি তিনি আর জানান, সরকারি সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে, মানুষকে ভয় দেখিয়ে এই আইএসএফ কর্মীদের তৃণমূল যোগদান করিয়েছে তৃণমূলের নেতারা।
তবে, ভাঙড়ের মানুষ আইএসএফের সাথেই আছেন বলেই দাবি তাঁর। বিধানসভা ভোটের মত আগামী পঞ্চায়েত ভোটেও সাধারণ মানুষ আইএসএফকেই ভাঙড়ের মাটি থেকে জেতাবে বলেই দাবি করেন তিনি। উল্লেখ্য গত বিধানসভায় রাজ্যের মধ্যে এই ভাঙড় বিধানসভা কেন্দ্রেই শুধুমাত্র জয়লাভ করে আইএসএফ।