রবিবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলে বাসি ভাত খাওয়ার হিড়িক। বাসি ভাত খাওয়ার জন্য আত্মীয় কুটুম্বদের নিমন্ত্রণ করা হয়।
সরস্বতী পুজোর পরের দিন (next day of Saraswati Pujo) অর্থাৎ আজ বাসি ভাতের পরব পুরুলিয়ায় (festival of stale rice)। সরস্বতী পুজোর নয় রকম (9 types of vegitables) তরকারি মাছ রান্না করে পরের দিন বাসি করে খাওয়ার নিয়ম প্রাচীন কাল থেকে চলে আসছে। আজ রাঙামাটি পুরুলিয়ার কোনও বাড়িতে উনুন জ্বলে না। হয় না কোন গরম রান্না। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলে বাসি খাবার খাওয়া। পুরুলিয়া এই উৎসব সিজানো পরব নামে পরিচিতি। রবিবার গোটা দিন বাসি ভাতের পরবে মজে পুরুলিয়া।
সিজানো পরব উপলক্ষ্যে বাসি ভাতের প্রস্তুতি দেখা যায় পুরুলিয়ার প্রান্তিক শহর ঝালদায়। জানা যায় সরস্বতী পুজোর দিন রান্না করে তার পরের দিন বাসি খাবার নিয়ম প্রাচীন কাল থেকে চলে আসছে পুরুলিয়ায়। রাঙ্গামাটি পুরুলিয়ায় সরস্বতী পুজোর দিন রান্না করার নিয়মকে সিজানো পরব বা বাসি ভাতের পরব বলা হয়ে থাকে। সরস্বতী পুজোর দিন গোটা পুরুলিয়া জেলার সাথে সাথে ঝালদাতেও ৯ রকমের সবজির পদ এবং মাছ রান্নার ব্যস্ততা থাকে তুঙ্গে।
নয় রকমের শাক সবজির সাথে মাছ বিশেষ জরুরী। পুরুলিয়ার বাসিভাতের পরবে মাছ প্রধান উপকরণ। সরস্বতী পুজোয় মাছের দাম যতই হোক বাড়িতে মাছ আসবেই। দু আড়াই কেজি মাপের রুই কাতলা থেকে চারাপোনা এদিন সব ধরণের মাছের পদ রান্না হয়। মাছের ঝাল, মাছের ঝোল, তেঁতুল দিয়ে চারাপোনার টক রান্না করা হয় শুধু মাত্র বাসি করে খাবার জন্য। দিনটিকে সিজানো পরব বলে।
এই দিনই আবার ষষ্ঠী পুজো করার প্রচলন রয়েছে। সরস্বতী পুজোর দিন রান্না হয় তাই আজ কোন রান্না হয় না, উনুন জ্বলে না এবং হয় না শিল নোড়ার ব্যবহার। শিলনোড়াকে ষষ্ঠী রূপে কল্পনা করে পুজো করা হয়। অর্থাৎ এদিন উনুনের সাথে শিল নোড়াকে বিশ্রাম দিয়ে ষষ্ঠী দেবী হিসেবে পুজো করা হয়। রবিবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলে বাসি ভাত খাওয়ার হিড়িক। বাসি ভাত খাওয়ার জন্য আত্মীয় কুটুম্বদের নিমন্ত্রণ করা হয়। পুরুলিয়া জেলার আর পাঁচটা পরবের সাথে বাসি ভাতের পরব অন্যতম। যার জন্য বছর ভর অপেক্ষা করে বসে থাকেন পুরুলিয়া শহর থেকে প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষ।