সস্তায় বাজির আঁতুড়ঘর, কালীপুজো আগে ব্য়স্ততা তুঙ্গে চম্পাহাটিতে

  • কালীপুজোর আগে আর হাতে বেশি সময় নেই
  • বাজি তৈরির ব্যস্ততা তুঙ্গে চম্পাহাটিতে
  • চম্পাহাটিতে বাজি তৈরির সঙ্গে যুক্ত কুড়ি হাজারেরও বেশি মানুষ
  • প্রতিবছর এখানে বাজি তৈরি করতে আসেন বহু মানুষ 

Asianet News Bangla | Published : Oct 20, 2019 11:09 AM IST / Updated: Oct 20 2019, 04:44 PM IST

পরিবেশপ্রেমী আর আদালতের চাপে শব্দবাজি বন্ধ হয়ে গিয়েছে, বললেই চলে। কিন্তু তাতে কি! কালীপুজোর আগে ব্যস্ততা তুঙ্গে দক্ষিণ ২৪ পরগনার চম্পাহাটির হাড়াল গ্রামে। রঙ-বেরঙের আলোর বাজি তৈরিতে ব্যস্ত স্থানীয় বাজি প্রস্তুতকারকরা।  

বিদ্যাধরী নদীর একেবারেই লাগোয়া চম্পাহাটির হাড়াল গ্রাম। লবণাক্ত মাটিতে বছরে বছর একবার ধান ছাড়া আর তেমন চাষাবাদ হয় না। বিকল্প পেশা হিসেবে তাই বাজি তৈরিকে বেছে নিয়েছে গ্রামের দুশোটিরও বেশি পরিবার। প্রায় চল্লিশ বছর ধরে বাজি তৈরি করছেন হাড়াল গ্রামের বাসিন্দারা।  স্রেফ হাড়ালই নয়, বাজি শিল্পের সঙ্গে যুক্ত আশেপাশের বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ। সংখ্যাটা প্রায় কুড়ি হাজারেরও বেশি।  স্থানীয় বাজি শিল্পীরা জানালেন, চকলেট, দোদমার মতো শব্দবাজি আর তৈরি করেন না তাঁরা। বরং চরকা, তুব়ড়ি, রঙমশাল, বিভিন্ন শেলবাজিরই চাহিদা বেশি। তবে হাড়াল গ্রামে তৈরি তুবড়ি ও চরকাই সবচেয়ে জনপ্রিয়।  দক্ষিণ ২৪ পরগনা তো বটেই, রাজ্য়ের অন্য জেলা থেকে চম্পাহাটির হাড়াল গ্রামে প্রতি বছর বাজি কিনতে আসেন বহু মানুষ।

কৃষিকাজের বিকল্প হিসেবে গ্রামে বাজি শিল্প কার্যত কুটীরশিল্পের চেহারা নিয়েছে ঠিকই। তবে সরকারি সাহায্য আর তেমন মেলে কই! গ্রামবাসীদের নিজেদের উদ্যোগেই বাজি তৈরির শিল্পকে বাঁচিয়ে রেখেছে।  হাড়াল গ্রামে বাজি শিল্পের সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, তাঁদের বক্তব্য, আদালতে নির্দেশে বাংলার শব্দবাজির সর্বোচ্চসীমা বেঁধে দিয়েছে সরকার। ৯০ ডেসিবেলের বেশি শব্দ হবে, এমন বাজি এ রাজ্যে তৈরি করা যায় না। অথচ তামিলনাড়ুতে কিন্তু শব্দবাজির সর্বোচ্চ সীমা  ১২৫ ডেসিবেল। এ রাজ্যের বাজারে ভিনরাজ্যের তৈরি বাজি বিকোচ্ছেও দেদার। আলোর বাজির তৈরির ক্ষেত্রে সরকারি প্রশিক্ষণেরও কোনও ব্যবস্থা নেই। ফলে বিপাকে পড়েছেন চম্পাহাটির হাড়াল গ্রামের বাজি শিল্পীরা।  সম্প্রতি অবশ্য ক্লাস্টার ডেভালপমেন্ট প্রকল্পে বাজিশিল্পীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাতে কিছুটা উপকার  হয়েছে। সরকারি লাইসেন্স নিয়ে বাজি তৈরির সঙ্গে যুক্ত হতে চাইছে নবীন প্রজন্ম। 
 

Share this article
click me!