'আলোচনা হয় না, ভান হয়'- সর্বদলীয় বৈঠক বয়কট করে জানাল তৃণমূল কংগ্রেস

শনিবার অর্থাৎ ১৬ জুলাই লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা বাদল অধিবেশনের ডাক দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই সর্বদলীয় বৈঠক বয়কট করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

Saborni Mitra | Published : Jul 16, 2022 10:09 AM IST / Updated: Jul 16 2022, 03:53 PM IST

আসন্ন বাদল অধিবেশনেও যে তৃণমূল কংগ্রেস কেন্দ্রীয় সরকারের বিরোধিতা করবে তা এখন থেকেই স্পষ্ট করে দিয়েছে। আগামী ১৮ জুলাই আর্থাৎ সোমবার থেকে শুরু হতে চলেছে সংসদের বাদল অধিবেশন। তার আগে শনিবার অর্থাৎ ১৬ জুলাই লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা বাদল অধিবেশনের ডাক দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই সর্বদলীয় বৈঠক বয়কট করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বাংলার শাসকদলের অভিযোগ মোদী সরকারে বিরোধীদের সঙ্গে কোনও আলোচনা  না করেই সিদ্ধান্ত নেয়। তাই তারা বৈঠক বয়কট করছে। তৃণমূলের সাংসদ সুদীপ বব্দ্যোপাধ্যায় বিষয়টি বিয়ে অভিযোগ জানিয়ে ওম বিড়লাকে চিঠি লিখেছেন বলেও জানিয়েছেন। 


শনিবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে টুইট করেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়ন। তিনি বলেন সংসদে কখনও কোনও জনকেন্দ্রিক বিষয়ে কেন্দ্র আলোচনার অনুমোদন দেয় না। সংসদীয় গণতন্ত্রকে বিজেপি উপহাস করে বলেও অভিযোগ তুলেছেন তিনি।  এখানেই শেষ করেননি তৃণমূল সাংসদ। তিনি সংসদীয় অধিবেশনের আগে সর্বদলীয় বৈঠক নিয়েও কটাক্ষ করেছেন। বলেছেন, 'সর্বদলীয় বৈঠকে আলোচনার ভান করা হয়। তাই তৃণমূল কংগ্রেস এজাতীয় বৈঠকে থাকে নেই।' ডেরেক আরও বলেছেন প্রথমে সরকার পক্ষ বলে তারা সব বিষয়ে আলোচনায় ইচ্ছুক। কিন্তু পরে তারা বিরোধীদের উপেক্ষা করেই চলে। 

আগামী ১৮ জুলাই শুরু হচ্ছে সংসদের বাদল অধিবেশন। চলবে ১২ অগস্ট পর্যন্ত। সেই অধিবেশনের প্রাক্কালে ১৬ জুলাই, লোকসভার সাংসদদের একটি বৈঠকে ডাকেন লোকসভার স্পিকার। শনিবার বিকেল চারটে নাগাদ ওই বৈঠক রয়েছে। ১৭ জুলাই, রবিবার সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বাদল অধিবেশনকে ফলপ্রসূ করতেই এই দু’দিনের এই বৈঠক ডাকা হয়েছে বলে দাবি কেন্দ্রের শাসকদলের। তবে সেই বৈঠকে থাকছে না তৃণমূল।

সম্প্রতি সংসদে অসংসদীয় শব্দ প্রয়োগ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বুধবার কেন্দ্রের তরফ থেকে এমনই ঘোষণা করা হয়েছিল। যা নিয়ে নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল দেশের রাজনীতি। বিরোধীরা ক্রমাগত আক্রমণ করেছিল মোদী সরকারকে। এই অবস্থায় আসরে নেমে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা । জানিয়েছেন কোনও শব্দই পার্লামেন্টে নতুন করে নিষিদ্ধ করা হয়নি। এই তালিকাটি ছিল যা নিছকই একটি অভিব্যক্তির সংকলন, যা অতীরে রেকর্ড বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সেই তালিকাই নতুন করে প্রকাশ করা হয়েছে। 


লোকসভার স্পিকার বৃহস্পতিবার বলেছেন,  'আগে এজাতীয় অসম শব্দের একটি বই প্রকাশ করা হয়। কগজপত্রের খরচ এড়াতে আমরা তা বন্ধ করে দিয়েছিলাম। বর্তমানে আমরা এটি ইন্টারনেটে রেখেছি। কোনও শব্দই নিষিদ্ধ করা হয়নি। আমরা অপসারিত শব্দগুলির একটি সংকলন জারি করেছি।' এরপরই ওম বিড়লা বিরোধীদের কটাক্ষ করে জিজ্ঞাসা করেন 'তাঁরা কি ১১০০ পৃষ্ঠার ওই অভিধানট (অসংসদীয় শব্দ সমন্বিত) পড়েছেন? যদি তারা পড়ে থাকতেন তাহলে ভুল ধারনা ছড়াত না।' তিনি আরও বলেছেন এটি ১৯৫৪ সাল থেকেই চলে আসছে। ১৯৮৬, ১৯৯২, ১৯৯৯, ২০০৪, ২০০৯  ও ২০১০ সালেই প্রকাশিত হয়েছিল। 

আরও পড়ুনঃ

অসংসয়ীয় শব্দের তালিকা আসলে বিরোধীদের কণ্ঠস্বর স্তব্ধ করার চেষ্টা, মোদী সরকারকে ধুয়ে দিলেন মহুয়া মৈত্র

ঋষি সুনক-অক্ষতা মূর্তির প্রেম কাহিনি, পার হতে হয়েছিল অনেক কাঁটা বিছান পথ

সনিয়ার নির্দেশেই নরেন্দ্র মোদীর সরকার ফেলে দেওয়ার ছক কষা হয়েছিল, চাঞ্চল্যকর অভিযোগ বিজেপির

Share this article
click me!