দলীয় সদস্যদের দ্বারা ক্ষমতাচ্যুত, 'ষড়যন্ত্র'-এর অভিযোগ রতুয়ার তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের

পঞ্চায়েত নির্বাচনে ২২ আসনবিশিষ্ট রতুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল ১৪, বিজেপি ৩, কংগ্রেস ২, সিপিআইএম ২ এবং আরএসপি ১টি আসন দখল করেছিল। সর্বসম্মতভাবে পঞ্চায়েতের প্রধান হন তৃণমূলের শেখ আলমগীর রেজা চৌধুরী। 

দলের শীর্ষ নেতৃত্বের অনুমতি না নিয়ে কোনও পঞ্চায়েতে দলীয় প্রধানের বিরুদ্ধে তৃণমূলের সদস্যরা অনাস্থা প্রস্তাব আনতে পারবেন না। এমনই নির্দেশ দিয়েছিল দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু, সেই নির্দেশকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে একের পর এক ঘটনা ঘটে চলেছে মালদহে। এবার রতুয়া-১ ব্লকের রতুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতেও সেই ঘটনা সামনে এসেছে। নিজেদের সদস্যদের আনা অনাস্থায় বিরোধী দলের সদস্যদের সমর্থনের জেরে বৃহস্পতিবার গদিচ্যূত হয়েছেন তৃণমূলের প্রধান। এনিয়ে অপসারিত প্রধান নিজেদের দলের কিছু নেতাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনেছেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছিল পঞ্চায়েত দফতর। শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয় অনাস্থা প্রক্রিয়া।

Latest Videos

পঞ্চায়েত নির্বাচনে ২২ আসনবিশিষ্ট রতুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল ১৪, বিজেপি ৩, কংগ্রেস ২, সিপিআইএম ২ এবং আরএসপি ১টি আসন দখল করেছিল। সর্বসম্মতভাবে পঞ্চায়েতের প্রধান হন তৃণমূলের শেখ আলমগীর রেজা চৌধুরী। মাস চারেক আগে আলমগীরের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আসেন পঞ্চায়েতের ১৫ জন সদস্য। এদিন ছিল সেই অনাস্থা প্রস্তাবের তলবি সভা। সভায় প্রধানের বিরুদ্ধে ১৫টি ভোট পড়ে। আর পক্ষে মাত্র ১টি ভোট পড়েছে। ভোটের ফলে স্বাভাবিকভাবেই নিজের পদ থেকে অপসারিত হন আলমগীর।

আরও পড়ুন- ২ শিক্ষিকার শরীরে বিষের মাত্রা বেশি, রিপোর্ট ফরেনসিক দলের

তৃণমূল নেতা শম্ভু চৌধুরী বলেন, "দীর্ঘদিন ধরে পঞ্চায়েতের কাজ সুষ্ঠুভাবে চলছিল না। পঞ্চায়েত সদস্যদের সঙ্গে প্রধানের মতানৈক্য ছিল। এর ফলে সাংগঠনিক কিছু অসুবিধা হচ্ছিল। পঞ্চায়েত সদস্যদের কোনও কথা তিনি শুনছিলেন না। নিজের খেয়াল-খুশি মতো পঞ্চায়েত চালাচ্ছিলেন।"

আরও পড়ুন- ‘অন্যায়ভাবে’ বদলির প্রতিবাদ, বিকাশ ভবনের সামনে বিষ পান ৫ শিক্ষিকার

আরও পড়ুন- মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে কেটেছে জট, শক্তিশালী দল গঠনের প্রক্রিয়া শুরু এসসি ইস্টবেঙ্গলের

অপসারিত হওয়ার পর আলমগীর বলেন, "আজ দলীয় সদস্যদের সমর্থনে তাঁরা আমাকে অপসারিত করতে পেরেছেন। যে সময় তাঁরা আমার বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার প্রস্তুতি চালাচ্ছিলেন সে সময়ই জেলার তৎকালীন সভানেত্রী মৌসুম নুরকে জানিয়েছিলাম। পাশাপাশি ব্লক নেতৃত্বকেও জানিয়েছিলাম। তাঁদের উত্তরের অপেক্ষায় ছিলাম। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত শীর্ষ নেতৃত্ব আমাকে কিছুই জানায়নি। এখনও তাঁদের উত্তরের অপেক্ষায় রয়েছি। দল যা সিদ্ধান্ত নেবে মাথা পেতে মেনে নেব। আমার বিরুদ্ধে অনাস্থা তৃণমূল আনেনি সিপিএম,কংগ্রেস ও বিজেপি মিলে খেলা খেলেছে। যারা সিপিআইএম পরিবার থেকে তৃণমূলে এসেছে তারা এই খেলা খেলেছে।" পাশাপাশি তাঁর আরও সংযোজন, "দলের কিছু শীর্ষ নেতৃত্বর মদতে আজকে আমাকে অপসারণ করা হয়েছে। পুরো বিষয়টি বর্তমান জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বকসি, জেলা চেয়ারম্যান সমর মুখোপাধ্যায় সহ রাজ্যের এক মন্ত্রীকেও জানিয়েছি।"


Share this article
click me!

Latest Videos

আচমকাই মাথায় ভেঙে পড়লো আইসিডিএস সেন্টারের চাল! চাঞ্চল্য Canning-এর Basanti-তে | South 24 Parganas
'এটা কোন মুখ্যমন্ত্রী? হিন্দুদের দায়িত্ব মুসলিমরা নেবে, বাংলাদেশ হয়ে যাবে তো' | Suvendu Adhikari
'আজ অনুপ্রেরণার ছবি হাওয়া, নেতাজিময় চারিদিক' জোর দিলেন শুভেন্দু | Suvendu Adhikari on Netaji
নেতাজির 'মৃত্যুদিন' ঘোষণা রাহুলের, ক্ষোভ উগরে একহাত নিলেন সুকান্ত মজুমদার | Sukanta on Rahul
‘Mamata Banerjee আর Modi দুজনেই ‘বিভাজনের রাজনীতি করছেন’ বিস্ফোরক মন্তব্য Adhir Ranjan Chowdhury