ক্রমশ জাতীয় রাজনীতিতে পা বাড়ানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল। আর ঠিক সেই সময় মমতাকে সংসদীয় কমিটির চেয়ারপার্সন করা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
সংসদীয় রাজনীতির সঙ্গে তাঁর এখন আর সম্পর্ক নেই। তবে অতীতে কয়েক দশক সাংসদ ছিলেন তৃণমূল সুপ্রিম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে তাঁর অভিজ্ঞতাকেই কাজে লাগাতে চায় তৃণমূল। আর সেই কারণেই এবার তৃণমূলের সংসদীয় কমিটির চেয়ারপার্সন করা হল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
বাংলা জয়ে হ্য়াট্রিক সেরে লক্ষ্য এখন নয়াদিল্লি। মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের ‘মিশন মোদি হঠাও’ এখন আর কারও অজানা নয়। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার মঞ্চ থেকে শুরু করে একুশে জুলাইয়ের ভার্চুয়াল সভা, সব জায়গাতেই নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা খোলসা করে দিয়েছেন তিনি।
২৬ জুলাই দিল্লি সফরে যাচ্ছেন মমতা। আর তার আগে তৃণমূল একটা মাস্টারস্ট্রোক দিল বলে মনে করছেন অনেকেই। শুক্রবার দিল্লিতে এক সাংবাদিক বৈঠক করে সংসদীয় কমিটির চেয়ারপার্সনের কথা ঘোষণা করেন সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় ও ডেরেক ও’ব্রায়েন। তাঁরা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার তৃণমূলের সংসদীয় দলের একটি বৈঠক হয়েছিল। সেখানেই তৃণমূল নেত্রীকে সর্বসম্মতিক্রমে সংসদীয় কমিটির চেয়ারপার্সন হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। ক্রমশ জাতীয় রাজনীতিতে পা বাড়ানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল। আর ঠিক সেই সময় মমতাকে সংসদীয় কমিটির চেয়ারপার্সন করা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন- আচমকা তলবে দিল্লি উড়ে গেলেন শুভেন্দু, সতর্ক করতে ডাকা হয়েছে-কটাক্ষ কুণালের
৭ বারের সাংসদ, ৩ বারের মুখ্যমন্ত্রী। সংসদীয় হোক বা পরিষদীয়, মমতার রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাকে ব্যবহার করতে চায় তৃণমূল। ২০২৪-এর লোকসভায় তাঁর অভিজ্ঞতাকে ব্যবহার করতে চায় দল। বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে ঐক্যবদ্ধ করতে ২৬ জুলাই দিল্লি যাচ্ছেন মমতা। সেখানে বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। বৈঠক করতে পারেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল, সনিয়া গান্ধী ও শরদ পাওয়ারের সঙ্গে। মমতার দিল্লি যাওয়ার আগেই এই সিদ্ধান্ত নিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে তৃণমূল একটা বড় বার্তা দিতে চাইল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।