তৃণমূলের হিংসার শিকার সংখ্যালঘুরাও - বেধড়ক মার গ্রামছাড়াদের, আক্রান্ত বিজেপি সাংসদও

সংখ্যালঘুরাও শিকার তৃণমূলের হিংসার

গ্রামে ফিরতে যেতেই বেধড়ক মার গ্রামছাড়াদের

প্রাণ সংশয় এক সংখ্যালঘু বিজেপি

সমর্থকের। মার খেলেন জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ-ও

শুক্রবারই রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে নির্বাচন পরবর্তী হিংসার খতিয়ান দেওয়া হয়েছে। আর সেই দিনই তৃণমূলের হামলার শিকার হলেন জলপাইগুড়ি বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায়। বিজেপি করার 'অপরাধে'ই বিজেপি কর্মীদের উপর চড়াও হয় তৃণমূল সমর্থকরা বলে অভিযোগ। তাদের বাঁচাতে গিয়ে নিজেই আহত হন বিজেপি সাংসদ। এদিনের ঘটনা সাংসদ-সহ বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ। মহম্মদ কাবুল নামে এক বিজেপি সমর্থকের প্রাণহানির আশঙ্কাও রয়েছে বলে জানানো হয়েছে জলপাইগুড়ি বিজেপির পক্ষ থেকে।

জানা গিয়েছে ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের আওতাধীন জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের বিন্নাগুরি গ্রাম পঞ্চায়েতের ভান্ডারিগছ গ্রামে। এক আহত বিজেপি কর্মী দাবি করেছেন, নির্বাচনের ফল বের হওয়ার পর থেকেই ওই গ্রামের অন্তত ৩৯ জন নারী-পুরুষকে গ্রামছাড়া করেছিল ওই গ্রামের তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। প্রত্যেকেই সংঘালঘু সম্প্রদায়ের সদস্য। গোপাল রায় নামে বিজেপির এক স্থানীয় নেতা তাঁদের আশ্রয় দিয়েছিলেন। এতদিন তিনিই এই গ্রামছাড়া মানুষদের দেখভাল করছিলেন।

Latest Videos

তাঁরা পুলিশে জানিয়েছিলেন। কিন্তু, গ্রামছাড়াদের গ্রামে ফেরানোর বিষয়ে অনেক টালবাহানা করেছে পুলিশ। ওই বিজেপি নেতার দাবি, এদিন স্থানীয় থানার বড়বাবু তাঁকে ফোন করে বলেছিলেন,বিকাল ৪টের সময় পুলিশি প্রহরায় সকলকে গ্রামে ফেরানো হবে। গোপাল রায়ের অভিযোগ, তাঁরা গ্রামে ঢুকতেই লাঠি-বাঁশ ইত্যাদি নিয়ে তাদের উপর চড়াও হয় তৃণমূল আশ্রীত গুন্ডা বাহিনী। বেধড়ক মারধর করা হয় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের। গোপাল রায়ের মাথা ফেটে যায়। আরও অনেকেই গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁদের রক্ষা করতে গিয়েছিলেন জলপাইগুড়ির বিজেপির সাংসদ জয়ন্ত রায়। কিন্তু, তাঁকেও রেয়াত করেনি ওই দুষ্কৃতীরা। তাঁর গায়ের পড়ে লাঠি-বাঁশের বাড়ি।

আরও পড়ুন - মোদী সরকারের টিকাদান পরিকল্পনা কি ভুল - বাড়তে পারে মিউট্যান্ট স্ট্রেনের দাপট, এল সতর্কবার্তা

আরও পড়ুন - এক রেশন কার্ড - আদালতের নির্দেশই হল হাতিয়ার, মমতাকে আক্রমণ বিজেপির 'বহিরাগত'দের

আরও পড়ুন - গদ্দারও দুই প্রকার, নরমপন্থী ও চরমপন্থী - দলে কাদের ফেরাবেন, কী বললেন মমতা

এই হামলার ফলে মহম্মদ কাবুল নামে এক বিজেপি কর্মীর প্রাণ সংশয় হয়েছে বলে জানিয়েছে বিজেপি। বিজেপি সাংসদ-সহ আহত সকলকেই চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়েছে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানকার ডাক্তাররা মহম্মদ কাবুলকে নিয়ে বিশেষ আশার কথা শোনাতে পারেননি। বিজেপির প্রশ্ন, মমতা  বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষরা সবথেকে বেশি সুরক্ষিত, সেখানে সংখালঘু সম্প্রদায়ের এই মানুষগুলোর উপর কেন হামলা হল? পশ্চিমবঙ্গেরর মানুষ কী এই শাসনই  চেয়েছিলেন?

Share this article
click me!

Latest Videos

‘প্রণামের সংস্কৃতি ভুলে যাচ্ছে বাঙালি’ বিস্ফোরক মন্তব্য Dilip Ghosh-এর, দেখুন কী বলছেন | Dilip Ghosh
'কুমিল্লা ছেড়ে চলে যা' কুমিল্লায় বৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধার গলায় জুতোর মালা! | Bangladesh News |
পুলিশের তৎপরতায় বানচাল ডাকাতির প্ল্যান! গ্রেফতার ২ অপরাধী, চাঞ্চল্য Birbhum-এ
West Bengal-এ জঙ্গিযোগ নিয়ে Mamata Banerjee-কে চরম তুলোধোনা Agnimitra Paul-এর! দেখুন কী বললেন
'যেসব মুসলমানরা হিন্দুদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন তাঁদেরই পূর্বপুরুষেরা হিন্দু ছিল' বিস্ফোরক অর্জুন