শাসক শিবিরে মুর্শিদাবাদে উলাটপুরাণ! দল বিরোধী কাজ করার জন্য পাকাপাকি ভাবে বহিষ্কার করা হল ভগবানগোলা বিধানসভা কেন্দ্রের দাপুটে নেতা তথা পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিকে।
মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) দল বিরোধী কাজের (anti-party work) জন্য ভোটের মুখে বহিষ্কার তৃণমূলের (Trinamool) জনপ্রতিনিধিকে। এবার শাসক শিবিরে মুর্শিদাবাদে উলাটপুরাণ! দল বিরোধী কাজ করার জন্য পাকাপাকি ভাবে বহিষ্কার করা হল ভগবানগোলা বিধানসভা কেন্দ্রের দাপুটে নেতা তথা পঞ্চায়েত সমিতির (Trinamool Panchayet samiti) তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিকে। মঙ্গলবার এ খবর ছড়িয়ে পড়তেই জেলার রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে যায়।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত জেলার দুটি বিধানসভা কেন্দ্রে সাধারণ নির্বাচনের আগে শাসকদলের এমন ঘটনায় রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়েছে ঘাশফুল শিবির। বহিষ্কৃত ওই সদস্যের নাম আশরাফ বাসার ওরফে বাপি। দলীয় কার্যালয়ে স্থানীয় ব্লক তৃণমূল সভাপতি আফরোজ সরকার রাজেশ ও বিধায়ক ইদ্রিস আলির উপস্থিতিতে ওই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
বাড়িতে রেখে দেওয়া সোনা থেকে পাবেন মোটা টাকা, জেনে নিন উপায়
মরণাপন্ন করোনা রোগীদের বাঁচাতে ছাড়পত্র টসিলিজুমাব ওষুধকে, করোনা যুদ্ধে এগোল মোদী সরকার
হটনেসে টেক্কা দেন নায়িকাদেরও, চিনে নিন ভারতীয় নেতাদের এই সুন্দরী বউদের
পরে বিধায়ক সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেন, “তৃণমূল একটি শৃঙ্খলাপরায়ণ দল। এখানে দলের অনুশাসন মেনে চলতে হয়। এর ব্যতিক্রম হলে দল তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে,এক্ষেত্রেও তাই করা হয়েছে।” পঞ্চায়েত সমিতি্তে তৃণমূল দলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয় লাভ করেন আশরাফ বাসার ওরফে বাপি। অভিযোগ, বিধানসভা নির্বাচনে দল বিরোধী কার্যকলাপ তো বটেই, সেই সঙ্গে সংযুক্ত বাম মোর্চার সিপিএম প্রার্থী কামাল হোসেনের হয়ে ভোট প্রচার করেন। ওই সময় দলের লোক তাকে একাধিক বার বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেননি বাপি।
তার পরিপ্রেক্ষিতে এদিন দলের এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় তাকে বহিষ্কার করার। তবে কত দিনের জন্য ওই বহিষ্কার তা কিন্তু স্পষ্ট করেনি দল । এই ব্যাপারে তড়িঘড়ি সাফাই দেন বাপি। তিনি বলেন, “আমি বর্তমানে অসুস্থ। দল আমাকে কোনও রকম শো কজ না করে কি ভাবে বহিষ্কার করে তা আমার জানা নেই। এছাড়া দলের নির্দেশে আমি আমার নির্বাচিত এলাকার নিকটবর্তী বিধান সভার ভোটে কাজ করেছিলাম তা সবার জানা। বাকিটা আগামী ভবিষ্যৎ কথা বলবে"।