লক্ষ্মীপুজোর আগে সবজি কিনতে গিয়ে ছ্যাঁকা লাগছে হাতে, টান মধ্যবিত্তের পকেটে

পেট্রোপণ্যের লাগাতার মূল্যবৃদ্ধি আর টানা বৃষ্টির জেরেই কাঁচা আনাজের দাম বেড়েছে বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা। এর ফলে বাজারে গিয়ে সবজির দাম শুনে কার্যত ছ্যাঁকা খেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

Asianet News Bangla | Published : Oct 18, 2021 11:30 AM IST / Updated: Oct 18 2021, 05:37 PM IST

প্রতিদিনই বাড়ছে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম (petrol diesel price)। কাঁচা আনাজের উপর যে তার প্রভাব পড়বে তা আশা করা হয়েছিল। আর কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর (kojagari laxmi puja) আগে সেটাই সত্যি হল। পুজোর আগে মধ্যবিত্তের দুর্ভোগ বাড়িয়ে সবজির দাম (Vegetable Price) আগুন। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে দাম।

পেট্রোপণ্যের লাগাতার মূল্যবৃদ্ধি আর টানা বৃষ্টির (Heavy Rain) জেরেই কাঁচা আনাজের দাম বেড়েছে বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা (Businessman)। এর ফলে বাজারে গিয়ে সবজির দাম শুনে কার্যত ছ্যাঁকা খেতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। শহরাঞ্চলে এই কদিনের মধ্যে বৃদ্ধি পেয়েছে পেঁয়াজ ও টমেটোর দাম। টমেটো ৮০ টাকা কেজি, পেঁয়াজ ৬০ টাকা কেজি, বেগুন ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি, এক পিস ফুলকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পটোল ৬০ থেকে ১০০ টাকা কেজি, ক্যাপসিকাম ১৫০ থেকে ২০০ টাকা কেজি, আলু ২২ টাকা কেজি, সজনে ডাঁটা বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া, বিনস ১৫০ টাকা কেজি, পালং শাক ১০০ টাকা কেজি,  কাঁকরোল ৬০ টাকা কেজি ও নারকেল এক পিস ৪০ টাকা। 

তবে সবজির দাম বাড়লেও ফলের দাম বিশেষ বাড়েনি। তাতে কিছুটা হলেও স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন সাধারণ মানুষ। আপেল ও নাসপাতি ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি, কলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা ডজন, একটা মুসাম্বি লেবু ১০ থেকে ১৫ টাকা, শাকআলু ১০০ টাকা কিলো, শশা ৫০ থেকে ৬০ টাকা কিলো আর খেজুর ১২০ টাকা কেজি।

আরও পড়ুন- ইটাহারে বিজেপি নেতা 'খুনে' নয়া মোড়, দুষ্কৃতী নয় নিজের বন্দুকের গুলিতেই মৃত্যু মিঠুনের

লক্ষ্মীপুজোতে অনেকের বাড়িতেই ভোগ দেওয়ার রীতি রয়েছে। সেখানে ভাজার পাশাপাশি থাকে তরকারি, পায়েস, ফল সহ আরও অনেক কিছুই। আর সেই কারণে প্রতি বছরই এই সময় চাহিদা বেশি থাকায় বাজার দর সাধারণ সময়ের থেকে অনেকটা বেড়ে যায়। ফলে সমস্যায় পড়তে হয় মধ্যবিত্তকে। আর এবছর তার উপর লাগাতার পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে কাঁচা সবজির উপর। যার ফলে লক্ষ্মীপুজোর আয়োজন করতে গিয়ে টান পড়ছে মধ্যবিত্তের পকেটে। বাজার দর দেখে ক্রেতা কৃষ্ণা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "বছরের এই একটা দিন পুজো হয়। যাই হোক অল্প করে বাজার সারলাম।"

আরও পড়ুন- কিছুতেই নাগাল পাওয়া যাচ্ছে না, কয়লাপাচারকাণ্ডে বিনয় মিশ্রের বিরুদ্ধে জারি গ্রেফতারি পরোয়ানা

এছাড়া করোনা পরিস্থিতির মধ্যে কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ। অনেক অফিসে মাইনে কাটছাঁট করা হয়েছে। মানুষের রোজগার অনেকটাই কমে গিয়েছে। তার মধ্যে উৎসবের মরশুমে বাজার দর এত বেশি হওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন বহু মানুষ। তবে শুধুমাত্র সবজি ও ফলের দামই নয় অন্যবারের তুলনায় বেড়েছে প্রতিমার দামও। ছোট মূর্তিই বিকোচ্ছে ১০০-র আশপাশে। আর বড় সাজের প্রতিমার দাম রয়েছে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা। খড়ের ঠাকুরের দাম আরও অনেক বেশি।

আরও পড়ুন- গড়িয়াহাটে জোড়া খুন, একতলায় বাড়ির মালিক ও দোতলায় উদ্ধার গাড়ি চালকের রক্তাক্ত দেহ

করোনা পরিস্থিতির মধ্যে গতবার তেমন বিক্রি হয়নি। বাজার খুবই খারাপ গিয়েছিল। কিন্তু, আগের তুলনায় এবার করোনার দাপট অনেকটাই কম। তাই আশায় বুক বেঁধেছিলেন বিক্রেতারা। কিন্তু, সেই আশাতেও জল ঢেলে দিয়েছে বৃষ্টি। এর জেরে অনেকে ঠিক করে ঠাকুরই গড়তে পারেননি। প্রতিমা বিক্রেতা জয়ন্ত কর্মকার বলেন, "বৃষ্টি ধরলেই ক্রেতারা বেশি করে আসবেন। নইলে এবারও বাজার খারাপ যাবে।"   

Share this article
click me!