আচমকা ঘূর্ণিঝড়ে উড়ল শতাধিক বাড়ির ছাউনি। ভেঙে পড়েছে গাছ, বিদ্যুতের খুঁটি, মাটির বাড়ি। খবর পেয়ে দুর্গতদের ত্রান শিবিরে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে প্রশাসন। যাদের শুধুমাত্র ছাউনি উড়ে গিয়েছে তাদের দেওয়া হয়েছে ত্রিপল ও শুকনো খাবার।
ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের মুরারই ২ নম্বর ব্লকের পাইকড় ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের কাশিমনগর, কুশমোড় ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিশোড় এবং আমডোল গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর রামচন্দ্রপুর গ্রামে।
প্রশাসন ও গ্রাম সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে হঠাৎ ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে আসে। নিমেষের মধ্যে টিন ও খড়ের ছাউনি উড়িয়ে নিয়ে যায়। ভেঙে পড়ে গাছ, বিদ্যুতের খুঁটি। উত্তর রামচন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা রিটন শেখ বলেন, “চোখের নিমেষে সব লণ্ডভণ্ড হয়ে গেল। কিছু মানুষকে স্কুলে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাদের খাবার ব্যবস্থা করা হয়েছে”।
পাইকড় ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য কাশিমনগর গ্রামের বাসিন্দা মফিসজুল শেখ বলেন, “কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই সব শেষ। চোখের সামনে উড়িয়ে নিয়ে গেল টিন ও খড়ের ছাউনি। ভেঙে পড়েছে গাছ, বিদ্যুতের খুঁটি। এক মহিলার হাত ভেঙে গিয়েছে”। কাশিমনগরের বাসিন্দ ওলিউল শেখ বলেন, “আমি পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে কাজ করি। খুব কষ্ট করে একটি বাড়ি তৈরি করেছিলাম। এখন কি করব বুঝতে পারছি না। সরকার সাহায্য না করলে আর মাথা গোঁজার ঠাঁই তৈরি করতে পারব না”।
পাইকড় ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান আব্দুল গনি বলেন, “আমরা ক্ষতিগ্রস্থ মানুষদের ত্রান শিবিরে রাখার ব্যবস্থা করেছি। দিনে রাতে খাবার দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে”। বিডিও নাজির হোসেন বলেন, “দুপুরের দিকে খবর আসে ঘূর্ণিঝড় বেশ কিছু গাছ, বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়েছে। উড়ে গিয়েছে বাড়ির ছাউনি। ঝড়ের সঙ্গে বৃষ্টিতে মাটির বাড়ির ক্ষতি হয়েছে। প্রায় ১৭০ টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। আমরা কিছু মানুষকে ত্রান শিবিরে নিয়ে আশা হয়েছে। কিছু মানুষকে বাড়িতেই ত্রিপল ও শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে”।