'কেস দেবেন না প্লিজ', সরকারি দফতরে বিক্ষোভ কুলটিতে

  • সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ
  • প্রতিবাদ করায় মিথ্যে মামলায় গ্রেফতার
  • তার প্রতিবাদেই গান্ধীগিরি স্থানীয় বাসিন্দাদের
  • আশানসোলের কুলটির রামপুরের ঘটনা

হাতে পুষ্পস্তবক, কালো পতাকা, প্ল্যাকার্ড। গায়ে পরে থাকা গেঞ্জিতে লেখা, ‘কেস দেবেন না প্লিজ’। শয়ে শয়ে গ্রামবাসী পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলের রামপুর চেকপোস্টে  মোটর ভেহিক্যালস বিভাগ বা এমভিআই কর্তাদের ঘেরাও করে এভাবেই ডেপুটেশন জমা দিলেন।সঙ্গে কটাক্ষের সুরে বললেন, ‘স্যর দুর্নিতি করুন। ওটা আপনাদের অধিকার। কিন্তু প্রতিবাদীদের কেস দেবেন না প্লিজ।'

কিন্তু মোটর ভেহিকেলস দফতরের বিরুদ্ধে কেন ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা? জানা গিয়েছে, দিন পনেরো আগে রামপুর এমভিআই কর্তাদের দুর্নিতির বিরুদ্ধে জেলাশাসক ও পুলিশ কমিশানরকে ডেপুটেশন দিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর পরেই দেখা যায়, ডেপুটেশনে চার নম্বরে সাক্ষর থাকা মনোহর মণ্ডল নামে এক গ্রামবাসীকে পুলিশ গ্রেফতার করে গত ২ অগাস্ট। ডেপুটেশনে সাক্ষর থাকা অন্যদের বাড়িতেও পুলিশ গিয়ে শাসিয়েছে বলে অভিযোগ। তাঁদের বিরুদ্ধে সরকারি অফিসে হামলা ও সরকারি কর্মীদের হেনস্থার অভিযোগ আনা হয়। 

Latest Videos

দু' দিন আগে আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান ওই গ্রামবাসী। এর পরেই রবিবার গ্রামবাসীরা ধৃত মনোহরের বৃদ্ধ মাকে নিয়ে হাজির হন এমভিআই কর্তাদের অফিসে। ফুল নিয়ে মহিলা ও পুরুষরা দেখা করতে চান এমভিআই কর্তাদের সঙ্গে। যদিও পুলিশ ব্যারিকেড তৈরি করে তাঁদের আটকে দেয়।

 এ দিন গ্রামবাসীদের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে রাজ্য যুব তৃণমূল সম্পাদক বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'দিদিকে বলোট কর্মসূচিতে সাধারণ মানুষ সমস্যা নিয়ে, কাটমানি নিয়ে সরাসরি পার্টির লোকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাচ্ছেন। কিন্তু সরকারি আমলাদের একাংশ দুর্নিতি করছেন, কাটমানি খাচ্ছেন। সেই অভিযোগ দিদির কাছে যাচ্ছে না। সেরকমই একটি অভিযোগ গ্রামবাসীরা জানিয়েছিলেন পুলিশ কমিশনার ও জেলাশাসককে। তার পরিণতিতে প্রতিবাদীদের জেল হলো। তিনি বলেন তাই আগের বার দেওয়া ডেপুটেশন আমরা ফেরত নিতে এসেছি। আমরা মেনে নিচ্ছি আপনাদের হাত অনেক লম্বা। আমরা আপনাদের সঙ্গে পেরে উঠলাম না।'

দু' নম্বর জাতীয় সড়ক সংলগ্ন সালানপুর রোডের উপর কুলটি রামপুর চেকপোস্টে এই প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হয়।  রামপুর চেকপোষ্টে গান্ধীগিরি করে ডেপুটেশন দিয়ে গেলেন বড়িরা, লছমনপুর, শবনপুর, চলবলপুরের বাসিন্দারা। চিন্তামনি রায় নামে এক গ্রামবাসী কটাক্ষ করে বলেন, 'ভাগ্যিস ওনারা আমাদের আর্মস কেস, গাঁজা কেস। নইলে জামিনই মিলত না। তাই, ধন্যবাদ জানাতে এসেছি।'

গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ভিন রাজ্য থেকে জাতীয় সড়ক হয়ে ওভারলোডিং করা গাড়ি এ রাজ্যে ঢুকছে। ওভারলোডিংয়ের ক্ষেত্রে জরিমানা হলেও তা সরকারি কোষাগারে ঢুকছে না। ঢুকছে এমভিআই কর্তাদের পকেটে। আর তার প্রতিবাদে ডেপুটেশন দেওয়ার পরই স্থানীয় ওই যুবককে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হয় বলে অভিযোগ। রামপুর এমভিআই ইনচার্জ জীবন্ত গুহ গ্রামবাসীদের ঢুকতে দেননি। তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, বড় কর্তারা যা বলার বলবেন। 

Share this article
click me!

Latest Videos

Daily Horoscope: ১১ই জানুয়ারি কী অপেক্ষা করছে আপনার জন্য, জেনে নিন আজকের রাশিফল
Suvendu Adhikari Live : আসানসোলে মেগা জনসভা শুভেন্দুর, কী বার্তা, দেখুন সরাসরি
‘Trinamool Bangladeshi-দের সুবিধা করে দিচ্ছে’ বিস্ফোরক মন্তব্য Dilip Ghosh-এর, দেখুন
'তৃণমূলের মাফিয়ার কাজ করে মাসে এক কোটি কামায় পুলিশের IC', বিস্ফোরক মন্তব্য Suvendu Adhikari-র
'আমাদের আনুন আমরা ৩ লাখের ঘর ও ৩ হাজার টাকা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দেবো', বার্তা দিলেন Suvendu Adhikari