আশিষ মণ্ডল, বীরভূম: রাম মন্দির তৈরির তোড়জোড় চলছে জোরকদমে। দেশের বিভিন্ন সতীপীঠ থেকে গঙ্গার জল, মাটি পাঠানো হচ্ছে অযোধ্যায়। বাদ গেল না এ রাজ্যের তারাপীঠও। মঙ্গলবার দিনভর চলল যাজ্ঞ-যজ্ঞ।
আরও পড়ুন: প্রেমের ফাঁদে ফেলে ছাত্রীদের 'যৌন হেনস্থা', অধ্যাপকের কীর্তিতে শোরগোল বর্ধমানে
কয়েক দশক ধরে চলেছে আইনি লড়াই। অযোধ্যায় 'বিতর্কিত জমি'তে রাম মন্দির তৈরির পক্ষেই রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ৫ অগাস্ট মন্দির নির্মাণের জন্য ভূমি পুজো করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। সেই উপলক্ষ্যে এ রাজ্যেও বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা-কর্মীদের তৎপরতা তুঙ্গে। দিন কয়েক আগে হুগলির ত্রিবেণী সঙ্গম থেকে পবিত্র জল সংগ্রহ করে অযোধ্যার উদ্দেশ্য রওনা দেন তাঁরা।
পুরাণ মতে, বীরভূমের তারাপীঠ কিন্তু সতীপাঠী নয়, সিদ্ধপীঠ। কিন্তু তা বলে এই জায়গার স্থান মাহাত্ম্য কম নয়। বছরভর দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু মানুষ আসেন তারাপীঠে। তারাপীঠ মহাশশ্মানের সামনে দিয়ে উত্তর দিকে বয়ে গিয়েছে দ্বারকা নদী। এই নদীর জলও গঙ্গার মতো পবিত্র বলে মনে করা হয়। মঙ্গলবার দ্বারকা নদী ও জীবিত কুণ্ডের জল এবং মহাশশ্মানের মাটি সহযোগে যজ্ঞের আয়োজন করা হয় মন্দির চত্বরে। যজ্ঞ শেষে ভষ্ম পিতলের কলসিতে ভরে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তারাপীঠ থেকে তিনটি কলস প্রথমে নিয়ে যাওয়া হবে কলকাতায়। সেখানে সমস্ত কলস একত্রিত করে পাঠানো হবে অযোধ্যায়।
আরও পড়ুন: করোনা যোদ্ধাদের কুর্নিশ, বিয়ের পর থানায় গিয়ে পুলিশকর্মীদের মিষ্টিমুখ নবদম্পতির
তারাপীঠ মন্দির কমিটির সদস্য নিখিল মুখোপাধ্যায় বলেন, 'যখন অযোধ্যায় মন্দির নির্মাণের প্রস্তুতি চলছিল, তখন তারাপীঠে ইঁট পুজো করে অযোধ্যায় পাঠিয়েছিলাম। ভূমিপুজো উপলক্ষ্যে যজ্ঞের ভষ্ম, নদী ও জীবিত কুণ্ডের জল এবং শ্মশানের মাটি পাঠানো হল। মা তারাকে সামনে রেখে রামেক যজ্ঞের আয়োজন করা হয়েছিল।' বিশ্বহিন্দু পরিষদের বিভাগীয় সাংগঠনিক শাখা সম্পাদক দেবাশিস চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'আমাদের সাড়ে চারশো বছরের ইচ্ছাপূরণ হল। ভূমি পুজোর সময় তারাপীঠের মতো সিদ্ধপীঠের পবিত্র জল, মৃত্তিকা ও যজ্ঞ ভষ্মের ব্যবহার করা হবে। এখান থেকে যজ্ঞের ভস্ম, মৃত্তিকা, গঙ্গা জল আমাদের কলকাতার কার্যালয়ে পাঠাব। সেখান থেকে এক সঙ্গে সব অযোধ্যায় নিয়ে যাওয়া হবে।'