Municipal Elcetion: ঝাঁট দিয়ে নালা পরিষ্কার থেকে ব্লিচিং ছড়ানো, পুরভোটের অভিনব প্রচার চন্দননগরে

করোনা আবহে ভোট রাজ্যের ৪ পুরসভায়। বাড়ি বাড়ি ফোন করা থেকে শুরু করে বিনামূল্যে সারা বাড়ি স্যানিটাইজেশন, অভিনব উপায়ে প্রচার সারছেন চন্দননগরের প্রার্থীরা।  

   

Web Desk - ANB | Published : Jan 13, 2022 5:13 AM IST / Updated: Jan 17 2022, 01:27 PM IST

করোনা আবহে ভোট রাজ্যের ৪ পুরসভায় (Municipal ELection) । স্বভাবতই বাকি ৩ কেন্দ্রের মতোই প্রচুর নিয়মনীতি বিধিনিষেধ মেনে চলতে হচ্ছে চন্দননগরে। তাই বলে তো প্রচারে গাফিলতি দিলে চলে না, যার জেরে চন্দননগর কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রার্থীরা বিভিন্ন অভিনব উপায়ে প্রচার সারছেন। আর এবার বাইশের প্রচারে অভিনবত্ব এনেছে বেশি রাজ্যের শাসকদল (TMC)।

 যেমন ২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী মোহিত নন্দী, তাঁর এলাকার ৬ টি বুথে টেলিকলার বসিয়ে প্রচার সারছেন। দলের মেয়েরাই এই দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন। ওয়ার্ডের সমস্ত বাড়ির অভিভাবকদের ফোন নম্বর কালেকশন করেছেন মোহিত। খাতা খুলে বাড়ি বাড়ি ফোন করে তৃণমূল প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার আবেদন করা হচ্ছে। কম যান না ৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী অনিমেষ বন্দ্য়োপাধ্যায়। তিনি প্রচারের  মাধ্যম হিসেবে বাড়ি বাড়ি স্যানিটাইজ করাকে বেছে নিয়েছেন। তাঁর ওয়ার্ডের প্রত্যেকটা বাড়ি তিনি বিনাব্যায়ে স্যানিটাইজ করে দিচ্ছেন। পাশাপাশি তাঁর বিশেষ টিম ওয়ার্ডের সমস্ত গলিতে গিয়ে ঝাঁট দিয়ে নালা পরিষ্কার করে ব্লিচিং ছড়াচ্ছেন। ১০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী অজয় ঘোষ আবার দেওয়াল চুনকাম করার পর দেওয়ালে না লিখে ফ্লেক্স সাটিয়ে দিচ্ছেন। যাতে দেওয়াল পরিষ্কার থাকে। ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী শুভজিত সাউ পুরো প্রচারটাই ডিজিটাল মাধ্যমে করছেন। তাঁর ওয়ার্ডের নাগরিকদের কাছে হোয়াটসএপ, চলে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন, Municipal Election: কোভিড পরিস্থিতিতে নিয়ম না মানলেই কড়া শাস্তি, প্রচার নিয়ে কী বলছে কমিশন

২৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী হিরন্ময় চট্টোপাধ্যায় আবার কোনও দেওয়াল লিখন করেননি। শুধু দেওয়াল জুড়ে শহর পরিচ্ছন্ন রাখার বার্তা দিয়ে গেছেন ছবির দ্বারা। অন্যদিকে বাম প্রার্থীরাও পিছিয়ে নেই। প্রার্থীদের একটা বড় অংশ তরুণ যুবা। নেটযুগে সবাই তারা সাইবারে এক্সপার্ট। ল্যাপটপের মাধ্যমেই তাঁরা প্রচারের অনেকটা সেরে ফেলছেন। যদিও বিজেপি এখনও ডোর টু ডোর ক্যাম্পেনের দিকেই বেশি জোর দিয়েছে। তবে প্রয়োজনে তারাও সাইবারের সাহায্য নেবে।  তবে চন্দননগর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন নির্বাচনে শুধু এই তিনটি দল নয় কংগ্রেসও প্রার্থী দিয়েছে বেশ কয়েকটি জায়গায়। তবে তাদের প্রচার খালি কয়েকটা ব্যানার ফ্লেক্সের মধ্যেই আপাতত আবদ্ধ রেখেছে। উল্লেখ্য এই কর্পোরেশনে মোট আসন সংখ্যা ৩৩ টি। গত ২০১৫ সালের নির্বাচনের পর তৃণমূল ২৩ বামফ্রন্ট ৯ এবং একটি এমন বিজেপির ছিল। ২০১৮ সালে এই নির্বাচিত বোর্ড শাসকদলের প্রবল গোষ্ঠীদ্বন্ধের জেরে ভেঙে যায় এবং প্রশাসক হিসেবে একজন বিসিএস অফিসার  (পুর কমিশনার) কে সেখানে নিয়োগ করা হয়।

Share this article
click me!