
পুরভোটের (WB Municipal Elections 2022 )প্রাক্কালে চাপদানিতে এবার প্রচারে নয়া চমক। হুডখোলা টোটোতে প্রার্থী চলেছেন গলিতে গলিতে ভোট চাইতে। এমনটাই দেখা গেল এদিন চাপদানি এলাকায় ( Champdany Municipality )। পুর নির্বাচন দোরগোড়ায়। প্রচারের তৎপরতাও বাড়ছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের। এই কনসেপ্ট মাথায় আসার বিস্তারিত কারণও বললেন সুরেশ মিশ্র।
চাপদানি পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান সুরেশ মিশ্র গতবারের মতো এবারও দাঁড়িয়েছেন ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে। তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা বলে এলাকায় যথেষ্ট পরিচিত তিনি। বিগত ৫ মাস ধরে তাঁর মাথায় ছিল এরকম একটা যানবাহন তিনি প্রচারের কাজে ব্যবহার করবেন যেটা খরচাবহুল নয় অথচ কাজ চলে যায়। যোগাযোগ করেন চুচুড়ার প্রতিষ্ঠিত ই-রিক্সা নির্মাণ কোম্পানি হুগলি মোটরসে। তাঁরা দীর্ঘদিন ভেবে ভেবে এই হুডখোলা টোটোটি নির্মাণ করে সুরেশ মিশ্রর হাতে সম্প্রতি তুলে দেন। এদিন সুরেশকে তাঁর নিজের ওয়ার্ডে ওই হুডখোলা টোটো টে চেপে রোড সো করতে দেখা গেল। এই নতুন যানবাহন দেখতে মানুষের ভিড় জমে যায়। টোটোর সামনে একটি মাইক ও জুড়ে দিয়েছেন ওই ই রিকশা নির্মাতা শেখ নাসিরউদ্দিন। যার ব্যাটারি টোটোর মধ্যেই লাগানো আছে। সামনে চালকের আসন। পেছনে প্রার্থীর দাঁড়ানোর জায়গা।
আরও পড়ুন, মমতা হলেন দুর্গা, অসুর শাহ-মোদী, তৃণমূল প্রার্থীর বিতর্কিত পোস্টারে উত্তাল মেদিনীপুর
কিন্তু হঠাৎ এই কনসেপ্ট মাথায় এলো কেন, প্রশ্নের উত্তরে সুরেশ জানান, 'প্রথমত এটা জিপের মতো ব্যয়বহুল নয়। পুরোনো জিপ গুলো মডিফাই করে হুডখোলা জিপ তৈরি হয়। তাই এই জিপগুলোর তেল সার্ভিস অত্যন্ত কম থাকে। এছাড়া অলিগলি ঢোকে না এই জিপ। আর সবচেয়ে বড় কথা দূষণ ছড়ায়। তাই টোটোর কথা মাথায় আসে। প্রথমত এর খরচ কম, দ্বিতীয়ত ছোটখাটো দেখতে বলে অলিগলি ঢুকে যায় আর তৃতীয়ত এটি পরিবেশ বান্ধব। দূষণহীন যান। আর বেশি লোকজনও ধরে না এই গাড়িতে, সেটাও এই সময় মানতে হয়।' তাই এবার হুডখোলা টোটোতে চেপেই অলিগলি ঘুরবেন ঠিক করেছেন সুরেশ মিশ্র।
প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা ভোটের পর থেকেই কোভিডের দ্বিতীয় এ তৃতীয় তরঙ্গে কুপোকাৎ সব নির্বাচন। হুট খোলা জিপ তো দূরে থাক, নিদেন পক্ষে রাস্তায় নামাতেই ছিল কঠোর নিয়ম। তবে বাংলা বরাবরাই হুডখোলা জিপেই শহরের নেতা-মন্ত্রীদের প্রচারকালীন সময়ে দেখতে অভ্যস্ত। তবে হুড খোলা টোটো নৈব নৈব চ। তাই সবদিক থেকেই এবার অভিনবত্বে আরও একধাপ এগিয়ে গেলেন সুরেশ মিশ্র।