আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া ও পশ্চিম বর্ধমান- রবিবার ভারি বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের এই সাতটি জেলায়।
সপ্তাহ-অন্তে ছুটির দিনে বৃষ্টির আমেজ। আরও শক্তি বাড়াল ওড়িশার ওপর ঘনীভূত হওয়া নিম্নচাপ। তারই জেরে রবিবার দিনভর বৃষ্টির পূর্বাভাস রাজ্যজুড়ে। আলিপুর হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, বাংলা ও ওড়িশা উপকূলে যে নিম্নচাপ তৈরি হয়েছিল তা ক্রমশই শক্তি বাড়াচ্ছে। নিম্নচাপের বৃষ্টি আরও বেশ কিছুদিন স্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনাও প্রবল রয়েছে।
আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া ও পশ্চিম বর্ধমান- রবিবার ভারি বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের এই সাতটি জেলায়। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। অন্যদিকে জলপাইগুড়ি, কালিম্পং ও আলিপুরদুয়ার - উত্তরবঙ্গের তিনটি জেলার জন্য ভারি বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। উপকূলবর্তী এলাকায় ঝোড়ো বাতাস বইবে বলেও আসাম সতর্ক করা হয়েছে মৎসজীবীদের।
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী দুই দিন কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকা বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। যার জেরে তাপমাত্রার পারদও কিছুটা নিন্মগামী হবে বলেও জানিয়েছে হাওয়া অফিস। কলকাতার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রি থেকে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ঘোরাফেরা করবে বলেও পূর্বাভাস রয়েছে।
চলতি বছর উত্তরবঙ্গে প্রবল বৃষ্টি হলেও এখনও পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির ঘাটতি রয়েগেছে। যদিও মৌসমভবনের বার্তা ছিল এবার এই দেশে স্বাভাবিক বর্ষা হবে। কিন্তু দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির আকাল রয়েছে। আবহাওয়াবীদদের কথায় এই দক্ষিণবঙ্গে মূলত বৃষ্টি হয় বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিন্মচাপ বা ঘূর্ণাবর্ত থেকে। তাই এই নিম্নচাপ দক্ষিণবঙ্গের বৃষ্টির খরা কাটাবে কিনা তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। প্রয়োজনীয় বর্ষা না হওয়ায় ইতিমধ্যেই চাষের ক্ষতি হতে শুরু করেছে রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকা। এখনও পর্যন্ত অনেক জায়গায় ধান রোয়ার কাজ শুরু করা যায়নি বর্ষার অভাবে। তাই বৃষ্টির দিকে তাকিয়ে রয়েছেন এই রাজ্যের কৃষকরা। ধান ছাড়াও একাধিক সবজি চাষেরও ক্ষতি হচ্ছে । বর্ষার চাষ বৃষ্টির অভাবে শুরু করা যায়নি বলেও দাবি করেছেন কৃষকরা।