অকাল বর্ষণে ভাসছে বাংলা, মধ্যবিত্তের চিন্তা বাড়িয়ে ফের বাড়তে পারে শাক-সব্জির দাম

বর্তমানে একশো টাকারও বেশি কেজি দরে বিকোচ্ছে ঢ্যাঁড়স, পটল। অন্যদিকে খুচরো বাজারে জ্যোতি আলু বিকোচ্ছে ১৪-১৬ টাকা প্রতি কিলো দরে। সেখানে পাইকারি বাজারে ১২-১৪ টাকা প্রতি কিলোয় বিকোচ্ছে জ্যোতি আলু।

Jaydeep Das | Published : Jan 12, 2022 6:06 AM IST

নতুন বছরের শুরুটা রোদঝলঝলে হলেও দিন দশেক পেরোতে না পেরোতেই ফের আকাশের মুখ ভার। এদিকে শীতের অকাল বর্ষণে গত মাস থেকেই নাজেহাল বঙ্গবাসী। এমতাবস্থায় এবার পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় বাংলার কমবেশি প্রতিটা জেলাতেই বৃষ্টির পূর্বভাস ( Rain Forecast by Weather Office ) দিচ্ছে হাওয়া অফিস। আর তাতেই মাথায় হাত চাষীদের। ফের আশঙ্কা করা হচ্ছে ফসল নষ্টের। এদিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই রাজ্যের একাধিক জেলায় চলে একটানা বৃষ্টি। আর তাতেই জমিতে জমেছে জল। এমতাবস্থায় নিত্য প্রয়োজনীয় ফসলের ফলন ধাক্কা খেলে যে বাজারেও শাক-সব্জীর দাম(Prices of vegetables) হু হু করে বাড়বে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। আর তাতেই যেন শিরে সংক্রান্তি আম-আদমির। এদিকে লকডাউন কালে গত এক বছরের বেশি সময় ধরে এমনই একাধিক নিত্য প্রয়োজনীয় শাক-সব্জির দাম(Prices of daily necessities) রয়েছে আকাশ ছোঁয়া। এমতাবস্থায় ফের তা বাড়লে অবস্থা যে ক্রমশ হাতের বাইরে যাবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

বর্তমানে একশো টাকারও বেশি কেজি দরে বিকোচ্ছে ঢ্যাঁড়স, পটল। অন্যদিকে খুচরো বাজারে জ্যোতি আলু বিকোচ্ছে ১৪-১৬ টাকা প্রতি কিলো দরে। সেখানে পাইকারি বাজারে ১২-১৪ টাকা প্রতি কিলোয় বিকোচ্ছে জ্যোতি আলু। পাশাপাশি খুচরো বাজারে চন্দ্রমুখী আলু বিকোচ্ছে ১৮-২২ টাকা কিলো দরে। পাইকারি বাজারে দাম উঠেছে ১৬-১৮ টাকা। অন্যদিকে মরসুমের সদ্য বাজারে ওঠা নতুন আলু বিকোচ্ছে ২৪ টাকা প্রতি কিলোর আশেপাশে। অন্যদিকে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কিলো ৪০-৪৫ টাকার আশেপাশে। তবে পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম দাঁড়িয়েছে প্রতি কিলো ৩৫ থেকে ৪০ টাকা।

আরও পড়ুন- ব্যাকফুটে শীত, ফের বাংলায় বৃষ্টির দাপট, বুধবার কোন কোন জেলায় রয়েছে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা

অন্যদিকে বর্তমানে আদা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কিলো ১০০-১১০ টাকা দরে। সেখানে কাঁচালঙ্কা প্রতি কিলো ১০০-১২০ টাকায় বিকোচ্ছে বলে দেখা যাচ্ছে। উচ্ছে বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা প্রতি কিলো দরে। বেগুন বিক্রি হচ্ছে প্রতি কিলো ৮০ টাকায়। সেখানে ঝিঙে বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা প্রতি কিলো দরে। ফুলকপি প্রতি পিস দাম পড়ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। বাঁধাকপির দামও প্রায় একই। এদিকে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের (Light to moderate rainfall) সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। বৃষ্টি হবে হাওড়া ও হুগলীতেও। এমতবস্থায় ফসলের আরও ক্ষতি হলে দাম যে আরও চড়বে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

Share this article
click me!