তাবড় অফিসারদের প্রশ্নের মুখে পড়েই চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়ে ফেললেন অনুব্রত মণ্ডল।
বহু টানাপোড়েন পেরিয়ে অবশেষে কেষ্ট মণ্ডলকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নয়াদিল্লিতে নিয়ে গিয়েছে ইডি। যাওয়ার আগে নিখুঁত শারীরিক পরীক্ষার পরেও কলকাতা বিমানবন্দরে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়েছিল বীরভূম জেলা সভাপতির। যদিও পরে ইনহেলার নিয়ে ফিসচুলার সমস্যার কারণে বিশেষভাবে প্রস্তুত রাখা সিটে বসে দিল্লিযাত্রা করেন তিনি। ৮ টা ৫৪ মিনিটে দিল্লি বিমানবন্দরে পৌঁছে যায় সেই বিমান।
রাতে দিল্লির রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষার পর জরুরি ভিত্তিতে সাড়ে ১১ টা নাগাদ আদালতে ভার্চুয়ালি পেশ করা হয় অনুব্রত মণ্ডলকে। তখন তাঁর আইনজীবী সশরীরে হাজির করানোর আর্জি জানালে বিচারকের নির্দেশে রাত ১২ টার পর অনুব্রতকে নিয়ে রওনা হয় ইডি। ১৪ দিনের হেফাজতের আর্জি জানালেও বিচারক অনুব্রতকে ৩ দিনের ইডি হেফাজতের অনুমতি দেন। তারপ তাঁকে জেরা করার জন্য ৬ সদস্যের বিশেষ দল গঠন করে ইডি, যার নেতৃত্ব দেবেন দুঁদে আইপিএস তথা ইডির স্পেশাল ডিরেক্টর সোনিয়া নারাং। তিনি ছাড়াও সেই দলে থাকবেন স্পেশ্যাল ডিরেক্টর বিবেক আর ওয়াদেকার, স্পেশ্যাল ডিরেক্টর রাহুল নবীন, স্পেশ্যাল ডিরেক্টর মনিকা শর্মা, সুনীল কুমার যাদব, যোগেশ শর্মা, ও সোহান কুমার শর্মার মতো তাবড় অফিসাররা।
এই অফিসারদের প্রশ্নের মুখে পড়েই চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়ে ফেললেন অনুব্রত মণ্ডল। ইডি সূত্রে জানা গেছে, মাসে অন্তত পাঁচ কোটি টাকা ‘প্রোটেকশন মানি’ হিসেবে দিতে হত তাঁর দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে। অনুব্রতর কথাতেই সেই টাকা নিতেন সায়গল। একটি হাট থেকে সপ্তাহে ১৫ থেকে ২০ কোটি টাকার গরু পাচার হত। সেই হিসাবেই ঠিক হত ‘প্রোটেকশন মানি’। পাচারের পরিমাণ বেশি হলে প্রোটেকশন মানির অঙ্ক আরও বেড়ে যেত। এখানেই শেষ নয়, অনুব্রত মণ্ডলের সাহায্যে গরু পাচারের কিংপিন এনামুল হক তাঁর পাচারের টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন বালি পাচার ও পাথর খাদান ব্যবসাতেও। সেই ব্যবসা থেকেও ২ কোটি টাকা দিতে হত সায়গলকে। ‘প্রোটেকশন মানি’-টি ১৫ দিন কিংবা এক মাস অন্তর জমা দিতে হত বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন-
মার্ক জ়াকারবার্গের ‘মেটা’ থেকে আবার হাজার হাজার কর্মী ছাঁটাই? চলতি মাসেই আশঙ্কায় কর্মীরা
শুরু হতে চলেছে এসপ্ল্যানেড থেকে হাওড়া মেট্রোর ট্রায়াল রান, ২০২৩-এই সুখবর পেতে চলেছেন বঙ্গবাসী