ওষুধ থেকে খাটের মতো বিভিন্ন সরঞ্জাম নিয়ে চলত কারবার, মাসে ৭ থেকে ৮ কোটির দুর্নীতি আরজি করে, প্রকাশ্যে অবিশ্বাস্য তথ্য

একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে আরজি কর ঘিরে। আর্থিক দুর্নীতির কথা আগেই প্রকাশ্যে এসেছে। এবার প্রকাশ্যে অবিশ্বাস্য তথ্য। জানা যাচ্ছে, খাট, ওষুধ থেকে অন্যান্য সরঞ্জাম নিয়ে হত কারাবার।

 

Sayanita Chakraborty | Published : Sep 7, 2024 6:24 AM IST
110

হাসপাতালের বিভিন্ন ধরনের শয্যার জন্য আলাদা ধাঁচের খাটই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কেনেন বলে নথি মিলেছে। কিন্তু নানা ধরনের খাটের এই রসিদ আদতে ভুয়ো বলে সিবিআইয়ের কাছে অভিযোগ এসেছে।

210

সব মিলিয়ে বেড, ওষুধ, অস্ত্রোপচার এবং চিকিৎসার সরঞ্জাম খাতেই আরজি করে মাসে অন্তত ৭-.৮ কোটি টাকার দুর্নীতির কারবার চলতে বলে তদন্তকারীদের প্রাথমিক হিসেব।

310

তিন ধরনের খাট কাজে লাগে হাসপাতালে। সাধারণ রোগীদের যে ধরনের শয্যায় ভর্তি রাখা হয়, তার এক একটি বেডের দাম ৩০-৪০ হাজার টাকা।

410

কিছু বিশেষ চিকিৎসা জন্য ভর্তি রোগীর বেডের দাম ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা। আবার অস্ত্রোপচার কক্ষে ব্যবহৃত বিশেষ প্রযুক্তি বিশিষ্ট খাটের দাম আড়াই তিন লক্ষ টাকা।

510

এই সকল খাট পুরনো বা নষ্ট হলে তা কর্তাদের বিশ্বস্ত সংস্থাকে দিয়ে মেরামত করিয়ে ফের ব্যবহার করা হত। দেখানো হত, নতুন খাট কেনা হয়েছে। এভাবে নেওয়া হল লক্ষ লক্ষ টাকা। হত দুর্নীতি।

610

সিবিআই কর্তা বলেন, এই ভাবে তিলে তিলে কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। অস্ত্রোপচার নানা সরঞ্জাম কেনার ভুয়ো নথি তৈরি করেও ধাপে ধাপে প্রায় কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে আরজি করে।

710

তেমনই মেয়ার উত্তীর্ণ ওষুধ বা স্যালাইন ব্যবহার করেও বিপুল খরচ দেখানো হত। কিন্তু বাস্তবে বা কেনা হত না।

810

সিবিআই কর্তা বলেন, আরজি করের দুর্নীতিতে ধৃত প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং তাঁর দুই ঘনিষ্ঠ সহযোগী বিপ্লব সিংহ, সুমন হাজরা মিলে এই ওষুধ দুর্নীতিতে যুক্ত ছিলেন।

910

সুমনের হাজরা মেডিক্যাল সংস্থা মারফত ওষুধ কেনার নথি রয়েছে। যার বেশির ভাগটাই আসলে কেনা হত না। কিন্তু কাগজের কলমে কেনা হয়েছে দেখানো হত।

1010

এক্ষেত্রে একা সন্দীপ নয়, হাসপাতলের নানা বিভাগের প্রধানরা জড়িত বলে অনুমান তদন্তকারী অফিসারদের। তাই হাসপাতেলর সকল বিভাগের প্রধানদের কী ভূমিকা আছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Share this Photo Gallery
click me!

Latest Videos

Recommended Photos